Supreme Court

ইসরো চরকাণ্ডে বিজ্ঞানীকে ফাঁসানোয় অভিযুক্তদের অন্তর্বর্তী জামিন খারিজ সুপ্রিম কোর্টে

ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থা (ইসরো)-র বিজ্ঞানী নাম্বি নারায়ণনকে চরকাণ্ডে ফাঁসানোর অভিযোগে সিবিআই মামলা করতেই কেরল হাই কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন ৪ অভিযুক্ত।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ০২ ডিসেম্বর ২০২২ ১৮:০৮
Share:

২০১৮ সালে ইসরোর বিজ্ঞানী নাম্বি নারায়ণনকে চরবৃত্তির অভিযোগ থেকে মুক্ত করে শীর্ষ আদালত। ছবি: ফেসবুক।

ইসরোয় চরবৃত্তিকাণ্ডে বিজ্ঞানী নাম্বি নারায়ণনকে ফাঁসানোয় অভিযুক্তদের অন্তর্বর্তিকালীন জামিন খারিজ করল সুপ্রিম কোর্ট। একই সঙ্গে এই জামিনকে সংরক্ষিত রেখে মামলাটি নতুন করে বিবেচনার জন্য কেরল হাই কোর্টে পাঠানো হয়েছে। শুক্রবার শীর্ষ আদালতের নির্দেশ, আগামী ৪ সপ্তাহের মধ্যে বিষয়টি বিবেচনা করতে হবে।

Advertisement

যদিও অভিযুক্তদের সাময়িক ভাবে গ্রেফতারির হাত থেকে রেহাই দিয়েছে সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি এমএর শাহ এবং বিচারপতি সিটি রবিকুমারের বেঞ্চ। বিচারপতিরা জানিয়েছেন, হাই কোর্ট এই বিষয়ে সিদ্ধান্তে গ্রহণ না করা পর্যন্ত অন্তর্বর্তিকালীন বন্দোবস্ত হিসাবে আগামী ৫ সপ্তাহের জন্য অভিযুক্তদের গ্রেফতার করা যাবে না।শীর্ষ আদালতের দু’সদস্যের বেঞ্চ আরও জানিয়েছে, হাই কোর্টের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা পর্যন্ত অন্তর্বর্তিকালীন জামিন খারিজ করে তা সংরক্ষিত রাখা হল। এ বিষয়ে নতুন করে বিবেচনার জন্য তা কেরল হাই কোর্টে পাঠানো হয়েছে।

ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থা (ইসরো)-র বিজ্ঞানী নাম্বিকে চরকাণ্ডে ফাঁসানোর অভিযোগে সিবিআই মামলা করতেই কেরল হাই কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন ৪ অভিযুক্ত। হাই কোর্টে অন্তর্বর্তী জামিন পেয়ে যান গুজরাতের প্রাক্তন ডিজিপি আরবি শ্রীকুমার-সহ কেরলের দু’জন প্রাক্তন পুলিশকর্তা এবং এক অবসরপ্রাপ্ত গোয়েন্দা আধিকারিক। এর পর জামিন বাতিলের আবেদন করে সিবিআই।

Advertisement

কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থাটির দাবি, অভিযুক্তেরা জামিন পেলে তদন্তে বিঘ্ন ঘটাতে পারেন তাঁরা। প্রত্যেক অভিযুক্তের মামলা অনুযায়ী আলাদা করে তাঁদের আবেদন শোনার জন্যও আর্জি ছিল সিবিআইয়ের। সিবিআইয়ের সে দাবিও মেনে নিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট।

প্রসঙ্গত, ১৯৯৪ সালে নাম্বি-সহ ইসরোর দুই বিজ্ঞানী এবং চার জনের বিরুদ্ধে চরবৃত্তির অভিযোগ উঠেছিল। তাঁদের মধ্যে দু’জন মালয়েশীয় মহিলাও ছিলেন। ওই মামলায় সে বছরের নভেম্বরে গ্রেফতারির পর জেলেও যেতে হয়েছিল নাম্বিকে। কেরল সরকারের বিরুদ্ধে মামলা করার দু’দশক পর সুপ্রিম কোর্টে অভিযোগমুক্ত হন তিনি। ২০১৮ সালে ওই অভিযোগ থেকে মুক্ত করে শীর্ষ আদালত। পাশাপাশি, ক্ষতিপূরণ বাবদ ৫০ লক্ষ পান তিনি। এ ছাড়া, জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের সুপারিশে আরও ১০ লক্ষ টাকা দেওয়া হয়েছিল নাম্বিকে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement