Election Commission

নির্বাচন কমিশনারদের নিয়োগ করবেন প্রধানমন্ত্রী, বিরোধী দলনেতা, প্রধান বিচারপতি: সুপ্রিম কোর্ট

সুপ্রিম কোর্ট রায় দিতে গিয়ে জানিয়েছে, পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে তিন সদস্যের কমিটি নতুন নির্বাচন কমিশনারদের নাম প্রস্তাব করবে। তারপর তাঁদের নিয়োগ করবেন রাষ্ট্রপতি।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ০২ মার্চ ২০২৩ ১২:৫৪
Share:

নির্বাচন কমিশনারদের নিয়োগ করবেন প্রধানমন্ত্রী, বিরোধী দলনেতা, প্রধান বিচারপতি, জানিয়ে দিল সুপ্রিম কোর্ট। ফাইল চিত্র।

নির্বাচন প্রক্রিয়ায় ‘স্বচ্ছতা বজায় রাখতে’ বড় পদক্ষেপ করল সুপ্রিম কোর্ট। বৃহস্পতিবার শীর্ষ আদালত জানিয়েছে, দেশে নির্বাচন কমিশনারদের নিয়োগ করবে একটি কমিটি। এই কমিটির সদস্য হিসাবে থাকবেন দেশের প্রধান বিচারপতি, প্রধানমন্ত্রী এবং বিরোধী দলনেতা। সুপ্রিম কোর্টের এই পদক্ষেপকে ‘ঐতিহাসিক’ বলে মনে করছেন অনেকে।

Advertisement

বৃহস্পতিবার সুপ্রিম কোর্ট এই প্রসঙ্গে রায় দিতে গিয়ে জানিয়েছে, সারা দেশে নির্বাচন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করার জন্য নির্বাচন কমিশনারদের ভূমিকা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে তিন সদস্যের কমিটি নতুন নির্বাচন কমিশনারদের নাম প্রস্তাব করবে। তার ভিত্তিতেই কমিশনারদের নিযুক্ত করবেন রাষ্ট্রপতি।

Advertisement

সুপ্রিম কোর্টের ৫ সদস্যের সাংবিধানিক বেঞ্চ আরও জানিয়েছে, দেশে নির্বাচন প্রক্রিয়ায় স্বচ্ছতা বজায় রাখা প্রয়োজন। সেই স্বচ্ছতার স্বার্থেই এই পদক্ষেপ বলে জানিয়েছে শীর্ষ আদালত। এই প্রসঙ্গে আদালতের পর্যবেক্ষণ, সিবিআইয়ের প্রধান যে ভাবে নিযুক্ত হন, সে ভাবেই নির্বাচন কমিশনারদের নিযুক্ত করা উচিত। বর্তমান ব্যবস্থায় প্রধানমন্ত্রীর পরামর্শে নির্বাচন কমিশনারদের নিযুক্ত করেন রাষ্ট্রপতি। তাঁদের কার্যকালের মেয়াদ হয় ৬ বছর। সচরাচর দেশের প্রাক্তন আমলাদের এই পদে বেছে নেওয়া হয়। তবে এই মনোনয়ন নিয়ে বারে বারেই প্রশ্ন উঠেছে। কংগ্রেস কিংবা বিজেপি, বিভিন্ন আমলেই বিরোধী দলগুলি দাবি করেছে, সরকারের ঘনিষ্ঠ আমলাদের নির্বাচন কমিশনার করা হচ্ছে।

আপাত ভাবে নির্বাচন কমিশন একটি স্বাধীন এবং স্বশাসিত প্রতিষ্ঠান হলেও বহু বার তাতে রাজনৈতিক হস্তক্ষেপের অভিযোগ উঠেছে। শাসকদলের বেলায় নীরব আর বিরোধী দলগুলির ব্যবহারে অতিসক্রিয়, কমিশনের বিরুদ্ধে এই অভিযোগও উঠেছে। সম্প্রতি ‘প্রকৃত’ শিবসেনা হিসাবে কমিশন শিন্ডেসেনাকে স্বীকৃতি দেওয়ায় উদ্ধব ঠাকরের সমর্থকেরা কমিশনের বিরুদ্ধে রাজনৈতিক পক্ষপাতের অভিযোগ তোলেন। উদ্ধব নিজে কমিশনকে শাসক দলের ‘দলদাস’ বলে কটাক্ষ করেন। এই আবহে সুপ্রিম কোর্টের এই নির্দেশকে তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement