ফাইল চিত্র।
তীরে এসে যেন তরী ডুবল বিজেপির। নাটকটা ভালই জমে উঠেছিল। ঘোড়া কেনাবেচার দৌড়ে প্রথম থেকে এগিয়েই ছিল বিজেপি। মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে বি এস ইয়েদুরাপ্পার শপথগ্রহণও হয়ে গিয়েছিল। কিন্তু তাল কাটল সুপ্রিম কোর্টের রায়ে। ১৫ দিন নয়, শপথ নেওয়ার দু’দিনের মাথাতেই সংখ্যাগরিষ্ঠ প্রমাণ করতে হবে ইয়েদুরাপ্পাকে। সুপ্রিম কোর্টের এই রায়ের পরই খেলার মোড়টা ঘুরে গেল। ভোটাভুটি দূরের কথা, সরাসরি ইস্তফাই দিয়ে দিলেন মুখ্যমন্ত্রীর শপথ নেওয়া ইয়েদুরাপ্পা। মায়াবতী সহ একাধিক নেতা-নেত্রীরাও এই কথাই বলছেন। অর্থাৎ সুপ্রিম কোর্টের ওই রায়ই এর কারণ, মত তাঁদের। নির্বাচন, ফল ঘোষণা, মুখ্যমন্ত্রীর শপথ এবং শেষমেশ তার দু’দিনের মাথাতেই মুখ্যমন্ত্রীত্ব থেকে ইস্তফা, এক ঝলকে দেখে নিন টাইমলাইন:
১২ মে: কর্নাটকে বিধানসভা নির্বাচন হয়।
১৫ মে: নির্বাচন কমিশন নির্বাচনের ফল ঘোষণা করে। ১০৪ আসন পেয়ে একক বৃহত্তম দল হিসাবে কর্নাটকে আত্মপ্রকাশ করে বিজেপি। কংগ্রেস পায় ৭৮ আসন এবং জিডি (এস) ৩৭।
• সরকার গড়তে বিজেপি এবং কংগ্রেস উভয়েরই জেডি (এস)-র সঙ্গে জোট করার প্রয়োজন ছিল।
১৬ মে: কর্নাটকের রাজ্যপাল বাজুভাই বালা বিজেপিকে ডেকে পাঠান। এবং পরদিন বিজেপির মুখ্যমন্ত্রী প্রার্থী বি এস ইয়েদুরাপ্পাকে শপথ নিতে বলেন।
• রাজ্যপালের এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে যায় কংগ্রেস।
১৬-১৭ মে: মধ্যরাতে শুনানি চলে সুপ্রিম কোর্টে।
১৭ মে: রাত ২টো ১১ মিনিটে শুনানি শুরু হয়। ইয়েদুরাপ্পার শপথগ্রহণে স্থগিতাদেশ দিল না সুপ্রিম কোর্ট।
• সকাল ৯টায় মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে শপথ নেন ইয়েদুরাপ্পা।
১৮ মে: ১৯ মে-র মধ্যে সংখ্যাগরিষ্ঠের প্রমাণ দিতে হবে ইয়েদুরাপ্পাকে, নির্দেশ দেয় শীর্ষ আদালত।
১৯ মে: আস্থাভোটের লাইভ সম্প্রচার করতে হবে, নির্দেশ দেয় শীর্ষ আদালত।
১৯ মে বিকেল ৪টে: আস্থাভোট শুরুর আগেই শেষ। ইয়েদুরাপ্পা বলেন, ‘‘আস্থাভোটে যাব না, আমি ইস্তফা দিচ্ছি।
আরও পড়ুন: দল ভাঙাতে পারল না বিজেপি, আস্থাভোটে না গিয়ে ইস্তফা ইয়েদুরাপ্পার