—প্রতীকী ছবি।
নয়াদিল্লি, ১৩ নভেম্বর: আইনি ভাষ্য থেকে লিঙ্গবৈষম্য দূর করতে কিছু দিন আগেই একটি পুস্তিকা প্রকাশ করেছিল সুপ্রিম কোর্ট। এ বার সেই পুস্তিকা পরিমার্জন করে ‘যৌনকর্মী’ শব্দটিও বাদ দিতে চলেছে তারা। নারী পাচার রুখতে কাজ করা একাধিক স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার তরফে লেখা চিঠিতে সাড়া দিয়েই সুপ্রিম কোর্ট এই পরিবর্তন আনতে চলেছে।
নতুন পুস্তিকায় যৌনকর্মীর বদলে পরিপ্রেক্ষিত অনুযায়ী পাচার-পীড়িতা, (ট্র্যাফিকড সারভাইভর), বাণিজ্যিক যৌনকর্মে নিযুক্ত মহিলা (ওম্যান এনগেজড ইন কমার্শিয়াল সেক্সুয়াল অ্যাক্টিভিটি), বলপূর্বক বাণিজ্যিক যৌন শোষণের ফাঁদে পড়া মহিলা (ওম্যান ফোর্সড ইনটু কমার্শিয়াল সেক্সুয়াল এক্সপ্লয়টেশন) লেখার কথা বলা হয়েছে।
এর আগে অগস্ট মাসেই সুপ্রিম কোর্ট লিঙ্গবৈষম্য রুখতে আইনি ভাষ্যে বেশ কিছু পরিবর্তন আনার কথা বলেছিল। তার পরেই ২৮শে অগস্ট বেশ কিছু স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়কে চিঠি লিখে যৌনকর্মী শব্দটির ঢালাও ব্যবহারও বন্ধ হওয়া উচিত বলে জানায়। অ্যান্টি হিউম্যান ট্র্যাফিকিং ফোরাম নামে একটি ছাতার তলায় জড়ো হয়েছিল গোয়া, মহারাষ্ট্র, কর্নাটক, অসম, দিল্লি ও মণিপুরের একাধিক স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন। তাদের বক্তব্য ছিল, যৌনকর্মী বললে মনে হয় ওই পেশায় যুক্ত সব মহিলাই স্বেচ্ছায় এই কাজ বেছে নিয়েছেন। অথচ বাস্তবটা এর ঠিক উল্টো। বেশির ভাগ মেয়েকেই এই পেশায় আসতে হয়েছে বাধ্য হয়ে, প্রতারিত হয়ে। মুক্তির পথ পাননি বলেই তাঁরা যৌনকর্মে টিকে থাকতে বাধ্য হয়েছেন।
শুক্রবার সুপ্রিম কোর্টের গবেষণা ও পরিকল্পনা দফতরের (সেন্টার ফর রিসার্চ অ্যান্ড প্ল্যানিং) ডেপুটি রেজিস্ট্রার অনুরাগ ভাস্কর ওই স্বেচ্ছাসেবী সংস্থাগুলিকে লিখিত ভাবে জানিয়েছেন, তাঁদের চিঠি মোতাবেক ‘যৌনকর্মী’ শব্দটি সুপ্রিম কোর্টের পুস্তিকায় বদল করা হবে। শব্দটি নিয়ে প্রশ্ন তোলার জন্য প্রধান বিচারপতি তাঁদের অভিবাদন জানিয়েছেন বলেও লিখেছেন অনুরাগ।