হোম নিয়ে রিপোর্টে হতবাক বিচারপতিরা

মুজফ্‌ফরপুর বেসরকারি হোম কাণ্ডে প্রধান অভিযুক্ত, প্রভাবশালী ব্রজেশ ঠাকুরকে বিহারের বাইরের কোনও জেলে কেন পাঠানো হবে না, তা জানতে চাইল সুপ্রিম কোর্ট।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

পটনা শেষ আপডেট: ২৬ অক্টোবর ২০১৮ ০১:৩৬
Share:

প্রতীকী ছবি।

মুজফ্‌ফরপুর বেসরকারি হোম কাণ্ডে প্রধান অভিযুক্ত, প্রভাবশালী ব্রজেশ ঠাকুরকে বিহারের বাইরের কোনও জেলে কেন পাঠানো হবে না, তা জানতে চাইল সুপ্রিম কোর্ট। এ ব্যাপারে ব্রজেশকে নোটিস পাঠানো হয়েছে। নোটিস দেওয়া হয়েছে রাজ্য সরকারকেও। আজ সুপ্রিম কোর্টে তদন্তকারী সিবিআইয়ের রিপোর্টের ভিত্তিতে এই মামলাকে হোমের মালিক ব্রজেশ প্রভাবিত করতে পারে বলে মনে করছে সর্বোচ্চ আদালত। মামলার তদন্তেও ব্রজেশ বাধার সৃষ্টি করতে পারে বলেও আদালতের ধারণা। সম্প্রতি সিবিআইয়ের অনুরোধে ব্রজেশকে মুজফ্ফরপুর জেল থেকে ভাগলপুর জেলে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।

Advertisement

এ দিন সিবিআইয়ের জমা করা স্ট্যাটাস রিপোর্ট দেখার পরে তিন সদস্যের ডিভিশন বেঞ্চ কার্যত শিউরে উঠেছে। বিচারপতি মদন বি লোকুর, বিচারপতি এস আব্দুল নাজির ও বিচারপতি দীপক গুপ্তর বেঞ্চ বলে, এই রিপোর্ট থেকেই স্পষ্ট, কী ভাবে এই অপরাধ সংগঠিত করা হয়েছে। এ নিয়ে বিহার সরকারকে তিরস্কার করেছে আদালত। বিচারপতিদের মতে, এমন ‘ভীতিকর’ ও ‘ভয়ানক’ ঘটনার কথা ভাবাই যায় না। এই ঘটনার পরে রাজ্য কী পদক্ষেপ নিয়েছে তাও জানতে চেয়েছে আদালত।

রাজ্যের প্রাক্তন সমাজ কল্যাণ মন্ত্রী মঞ্জু বর্মার স্বামী চন্দ্রেশ্বর বর্মাকে এখনও কেন গ্রেফতার করা হয়নি তা নিয়েও রাজ্য সরকার এবং সিবিআইকে একহাত নিয়েছে আদালত। ব্রজেশের অন্যতম সহযোগী হিসেবে উঠে এসেছিল চন্দ্রেশ্বরের নাম। তার জেরেই মঞ্জুদেবীকে ইস্তফা দিতে হয়। আদালত তাঁদের আগাম জামিনের আবেদন নাকচ করার পরেও কেন গ্রেফতার করা হয়নি, সেই কৈফিয়ৎও আদালত চেয়েছে। এপ্রিলে টাটা ইন্সটিটিউট অফ সোশ্যাল সায়েন্সেস রাজ্যের আবাসিক হোমগুলির অডিট রিপোর্ট জমা দেয়। সেই রিপোর্টেই ব্রজেশ ঠাকুরের হোমের জঘন্য ছবি সামনে আসে।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement