সুপ্রিম কোর্ট। —ফাইল চিত্র।
১৯৯১ সালের উপাসনাস্থল আইন বদলাতে চেয়ে একাধিক মামলা হয়েছিল সুপ্রিম কোর্টে। কিন্তু সাড়ে তিন বছর ধরে সেগুলির কোনও শুনানিই হয়নি। এই পরিস্থিতিতে আগামী বৃহস্পতিবার ফের এই মামলাগুলির শুনানি হতে চলেছে। শুনানির জন্য দেশের প্রধান বিচারপতি সঞ্জীব খন্নার নেতৃত্বে গঠিত হয়েছে তিন সদস্যের বেঞ্চ। বেঞ্চের অন্য দুই সদস্য হলেন বিচারপতি সঞ্জয় কুমার এবং বিচারপতি কেভি বিশ্বনাথন।
১৯৯১ সালের উপাসনাস্থল (বিশেষ ব্যবস্থা) আইন অনুযায়ী, কোনও মন্দির-মসজিদ বা গির্জার চরিত্র পাল্টানো যাবে না। ১৯৪৭-এ স্বাধীনতার সময় যেখানে যা ছিল, তেমনটাই রাখতে হবে। কিন্তু এই আইনে বদল চেয়ে সুপ্রিম কোর্টে মামলা হয়। মামলাকারীদের তরফে বলা হয়, সংবিধানের অনুচ্ছেদ ২২৬ মোতাবেক হিন্দু ধর্মাবলম্বীরা প্রাতিষ্ঠানিক ভাবে আদালতের কাছে তাঁদের ক্ষোভ জানাতে পারছেন না। ওই আইনের জন্য ১৯৪৭ সালের ১৫ অগস্টের আগে ‘দখলীকৃত’ হিন্দু ধর্মস্থানের ধর্মীয় চরিত্র পুনরুদ্ধার করা যাচ্ছে না বলেও দাবি করেন মামলাকারীরা।
২০২১ সালের ১২ মার্চ উপাসনাস্থল আইনের বিরুদ্ধে হওয়া মামলার শুনানিতে সুপ্রিম কোর্ট এই বিষয়ে কেন্দ্রের বক্তব্য জানতে চেয়েছিল। কিন্তু কেন্দ্র নিজেদের বক্তব্য জানানোর জন্য আদালতের কাছে সময় চাওয়ায় একাধিক বার এই মামলার শুনানি পিছিয়ে যায়। একাধিক বার শুনানি স্থগিত হয়ে গেলেও এখনও পর্যন্ত কেন্দ্র এই বিষয়ে নিজেদের অবস্থান স্পষ্ট করেনি।