দিল্লি হিংসা মামলায় দিল্লি পুলিশের আবেদন খারিজ সুপ্রিম কোর্টে। — ফাইল ছবি।
২০২০ সালে দিল্লি হিংসা মামলায় ছাত্র নেতা আসিফ ইকবাল তনহা, নাতাশা নারওয়াল, দেবাঙ্গনা কলিতার জামিনের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে আবেদন জানিয়েছিল দিল্লি পুলিশ। সেই আবেদন খারিজ করে দিল দেশের শীর্ষ আদালত। তাঁদের বিরুদ্ধে পুলিশ ইউএপিএ ধারায় মামলা রুজু করেছিল। তাঁদের জামিন মঞ্জুর করেছিল দিল্লি হাই কোর্ট।
দিল্লি হাই কোর্ট এই হিংসার মামলার তদন্তে রাজধানীর পুলিশের ভূমিকা নিয়ে কড়া সমালোচনা করে। আদালত পুলিশকে তীব্র ভর্ৎসনা করে জানায়, পুলিশ জঙ্গি কার্যকলাপ এবং ছাত্রছাত্রীদের প্রতিবাদের মধ্যের সীমারেখাকে ঝাপসা করে দিয়েছে। এই প্রেক্ষিতে জামিন বাতিলের আর্জি নিয়ে দিল্লি পুলিশ সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়। সেখানেও খারিজ হয়ে গেল তাদের আবেদন।
২০২১-এর জুনে হাই কোর্ট ছাত্রনেতা-নেত্রীদের জামিন মঞ্জুর করে। তার আগে বছর খানেক তাঁদের তিহাড় জেলে বন্দি থাকতে হয়েছিল। মঙ্গলবার সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি সঞ্জয় কিষাণ কল এবং বিচারপতি আহসানুদ্দিন আমানুল্লার বেঞ্চে এই মামলার শুনানি ছিল। সেখানে দিল্লি পুলিশের হয়ে সওয়াল করেন সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতা। তিনি সওয়ালে বলেন, ‘‘হাই কোর্ট এ সম্পর্কিত যে মন্তব্যগুলি করেছে তার প্রভাব সুদূরপ্রসারী হতে পারে। এমনকি ইউএপিএ আইনকে লঘুও করে দিতে পারে।’’ এর পরেই বিচারপতি কল বলেন, ‘‘জামিনের শুনানি সীমাবদ্ধ পরিসর নিয়ে হওয়া উচিত। কিন্তু উভয় পক্ষই বিস্তারিত ভাবে সওয়াল করছে। এই অবস্থায় আদালতের রায়ে সেই সওয়াল পর্বকে উল্লেখ করা ছাড়া উপায় থাকছে না।’’
এ দিন শুনানির শুরুতেই এক আইনজীবী শুনানি মুলতুবির আবেদন করেন। জানান, অতিরিক্ত সলিসিটর জেনারেল, যিনি আদালতে দিল্লি পুলিশের প্রতিনিধিত্ব করবেন, তিনি গরহাজির রয়েছেন। তা শুনেই বেঞ্চ জানায়, এই মামলা ইতিমধ্যেই আট বার মুলতুবি হয়েছে। আর পিছোনোর কোনও ইচ্ছে আদালতের নেই।