DK Shivakumar

ইডির অভিযোগ খারিজ সুপ্রিম কোর্টে, বেআইনি আর্থিক লেনদেন মামলা থেকে মুক্ত কংগ্রেসের শিবকুমার

শিবকুমারের বিরুদ্ধে ইডি ‘বেআইনি আর্থিক লেনদেন প্রতিরোধ আইনে’ (পিএমএলএ) যে অভিযোগ এনেছিল, মঙ্গলবার বিচারপতি অনিরুদ্ধ বসু এবং বিচারপতি বেলা এম ত্রিবেদীর বেঞ্চ তা খারিজ করেছে।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক

কলকাতা শেষ আপডেট: ০৫ মার্চ ২০২৪ ১৬:৪৮
Share:

কংগ্রেস নেতা ডিকে শিবকুমার। —ফাইল চিত্র।

কেন্দ্রীয় সংস্থা এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)-র অভিযোগ খারিজ করে কর্নাটকের উপমুখ্যমন্ত্রী তথা কংগ্রেস নেতা ডিকে শিবকুমারকে মুক্তি দিল সুপ্রিম কোর্ট। ২০১৮ সালের একটি মামলায় শিবকুমারের আবেদনের প্রেক্ষিতে মঙ্গলবার শীর্ষ আদালত এই নির্দেশ দিয়েছে।

Advertisement

শিবকুমারের বিরুদ্ধে ইডি ‘বেআইনি আর্থিক লেনদেন প্রতিরোধ আইনে’ (পিএমএলএ) যে অভিযোগ এনেছিল, মঙ্গলবার বিচারপতি অনিরুদ্ধ বসু এবং বিচারপতি বেলা এম ত্রিবেদীকে নিয়ে গঠিত শীর্ষ আদালতের বেঞ্চ তা খারিজ করেছে। দুই বিচারপতির বেঞ্চ রায়ে বলেছে, ‘‘আইনগত পদ্ধতি মেনে চার্জশিট দেয়নি ইডি।’’ লোকসভা ভোটের আগে এই রায় নরেন্দ্র মোদী সরকারের বিরুদ্ধে কংগ্রেসের হাতে নতুন অস্ত্র তুলে দিল বলে রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের একাংশ মনে করছেন।

২০১৭ সালে আয়কর দফতর শিবকুমার এবং অন্যদের বিরুদ্ধে কর ফাঁকি দেওয়া এবং হাওয়ালা লেনদেনের অভিযোগে বেঙ্গালুরুর একটি আদালতে চার্জশিট জমা দিয়েছিল। এর ভিত্তিতেই টাকা নয়ছয়ের মামলাটি করেছিল ইডি। কেন্দ্রীয় সংস্থার ওই পদক্ষেপের বিরুদ্ধে শিবকুমার কর্নাটক হাই কোর্টে আবেদন জানিয়েছিলেন। কিন্তু কর্নাটক হাই কোর্ট সেই আবেদন খারিজ করে দেওয়ার পরে ২০১৯ সালের সেপ্টেম্বরে ইডি তাঁকে গ্রেফতার করেছিল।

Advertisement

ইডি সূত্রের দাবি, ২০১৭ সালের অগস্ট মাসে কর্নাটকের প্রাক্তন মন্ত্রী শিবকুমারের বিভিন্ন ঠিকানায় তল্লাশি চালিয়ে প্রায় ৩০০ কোটির বেশি কালো টাকা উদ্ধার করেছিল আয়কর দফতর। ঘটনাচক্রে, সেই সময়েই গুজরাতে রাজ্যসভার ভোটপর্ব চলছিল। গুজরাত কংগ্রেসের ৪৩ জন বিধায়ককে বেঙ্গালুরুর রিসর্টে এনে রেখেছিলেন শিবকুমার। সেখান থেকেই তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডেকে নিয়ে যান তদন্তকারীরা। কর্নাটকে বিজেপির বিকল্প হিসেবে এইচডি কুমারস্বামীর সরকার গড়ার পিছনেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিয়েছিলেন শিবকুমার। ইডির বিরুদ্ধে রাজনৈতিক প্রতিহিংসার অভিযোগ তুলে শীর্ষ আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন তিনি। সেই মামলার রায় তাঁর পক্ষে গেল।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement