কমলনাথ সরকারকে নোটিস। —ফাইল চিত্র।
মধ্যপ্রদেশে অবিলম্বে আস্থাভোট করা নিয়ে এ বার কমলনাথ সরকারকে নোটিস ধরাল সুপ্রিম কোর্ট। নোটিস পাঠানো হয়েছে রাজ্য বিধানসভার সচিবকেও। আগামী ১২ ঘণ্টার মধ্যে অবস্থান স্পষ্ট করতে হবে তাঁদের। তার পর বুধবার সকাল সাড়ে ১০টায় ফের এই আবেদন নিয়ে শুনানি করবে শীর্ষ আদালত। ই-মেল এবং হোয়াটসঅ্যাপের মাধ্যমে কংগ্রেসের বিক্ষুব্ধ বিধায়কদের কাছেও ওই নোটিসের কপি পৌঁছে দিতে বলা হয়েছে। মামলায় তাঁদের একটি পক্ষ হওয়ার অনুমতিও দিয়েছে আদালত।
কমলনাথ সরকারের সংখ্যা গরিষ্ঠতা প্রমাণে সোমবারই মধ্যপ্রদেশ বিধানসভায় আস্থাভোট হওয়ার কথা ছিল। সেই মতো কমলনাথ সরকারকে নির্দেশ দিয়েছিলেন রাজ্যপাল লালজি টন্ডন। কিন্তু গতকাল বিধানসভার অধিবেশন শুরু হলে নোভেল করোনাভাইরাসের আতঙ্ককে সামনে রেখে ২৬ মার্চ পর্যন্ত বিধানসভার অধিবেশন বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেন স্পিকার এনপি প্রজাপতি। তাতে আস্থাভোটও মুলতুবি হয়ে যায়।
স্পিকারের সেই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে গতকালই শীর্ষ আদালতের দ্বারস্থ হন রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী শিবরাজ সিংহ চৌহান এবং বিজেপির ন’জন বিধায়ক। অবিলম্বে আস্থাভোট করানোর দাবি জানিয়ে আবেদন জমা দেন তিনি। এ দিন সেই আবেদনের শুনানি শুরু হলে কমলনাথ সরকারকে নোটিস ধরায় বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড় নেতৃত্বাধীন বেঞ্চ।
আরও পড়ুন: করোনার প্রতিষেধক টিকা আবিষ্কার! পরীক্ষামূলক প্রয়োগ শুরু আমেরিকায়
আরও পড়ুন: করোনা: ভারতের হাতে ৩০ দিন, সতর্কবার্তা বিশেষজ্ঞদের
তবে সুপ্রিম কোর্টের নোটিস পেলেও, আস্থাভোট নিয়ে নিজেদের অবস্থানেই এখনও পর্যন্ত অনড় কমলনাথ সরকার। তাদের দাবি, বেঙ্গালুরুতে কংগ্রেসের যে ১৬ জন বিধায়ককে বিজেপি আটকে রেখেছে, তাঁদের ছাড়া আস্থাভোটের প্রশ্নই ওঠে না। যদিও বিজেপির অভিযোগ, আস্থাভোটে পরাজয় নিশ্চিত জেনেই যেন তেন প্রকারে তা এড়ানোর চেষ্টা করছে কমলনাথ সরকার। বিক্ষুব্ধ বিধায়কদের সঙ্গে কথা চালাতেই আরও ১০ দিন সময় নিচ্ছে তারা।
তবে বিজেপি নেতৃত্ব আস্থাভোটে কমলনাথ সরকারের পরাজয় নিয়ে আত্মবিশ্বাসী হলেও, বেঙ্গালুরুর রিসর্টে থাকা বিক্ষুব্ধ কংগ্রস বিধায়কদের কেউ এখনও গেরুয়া শিবিরে যোগদান করেননি।