Gyanvapi Masjid-Kashi Vishwanath Temple

মরা মাছের ঝাঁক ভাসছে! জ্ঞানবাপী মসজিদের সেই সিল করা ওজুখানা সাফাই করতে বলল সুপ্রিম কোর্ট

বারাণসীর নিম্ন আদালতের বিচারক রবিকুমার দিবাকর ২০২২ সালে ওজুখানার ‘শিবলিঙ্গের’ নিরাপত্তা চেয়ে হিন্দুপক্ষের আবেদনের জেরে ওজুখানা চত্বর সিল করার নির্দেশ দিয়েছিলেন।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক

কলকাতা শেষ আপডেট: ১৬ জানুয়ারি ২০২৪ ১৬:৩৮
Share:

গ্রাফিক: শৌভিক দেবনাথ।

নমাজে নিষেধাজ্ঞার আবেদন খারিজ হয়েছিল আগেই। এ বার বারাণসীর জ্ঞানবাপী মসজিদে ওজুখানার জলাধার পরিষ্কারের অনুমতি দিল সুপ্রিম কোর্ট। বারাণসী আদালতের নির্দেশে ‘সিল’ করা ওই ওজুখানার জলাধারেই তথাকথিত শিবলিঙ্গের অস্তিত্ব রয়েছে বলে দাবি হিন্দুত্ববাদীদের (মুসলিম পক্ষের দাবি যা আদতে ফোয়ারা)।

Advertisement

বারাণসীর নিম্ন আদালতের বিচারক রবিকুমার দিবাকর ২০২২ সালে ওজুখানার ‘শিবলিঙ্গের’ নিরাপত্তা চেয়ে হিন্দু পক্ষের আবেদনের জেরে ওজুখানা চত্বর সিল করার নির্দেশ দিয়েছিলেন। সে বছর ১৭ মে তা বহাল রেখেছিল প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়ের নেতৃত্বাধীন সুপ্রিম কোর্টের বেঞ্চ। সেই সঙ্গে জ্ঞানবাপী মসজিদে মুসলিমদের নমাজের অধিকার বজায় রেখে জলের বিকল্প ব্যবস্থা করতে বলেছিল জেলা প্রশাসনকে। কারণ, নমাজের অধিকার পেলেও ওজুর জন্য স্থান এবং জলের অভাব ছিল বলে অভিযোগ ‘অঞ্জুমান ইন্তেজ়ামিয়া (জ্ঞানবাপী) মসজিদ কমিটি’র। বিষয়টি নিয়ে তারা আবেদন জানিয়েছিল শীর্ষ আদালতের কাছে।

এর পরে ২০২২ সালের ২০ মে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে মামলা নিম্ন আদালত থেকে বারাণসী জেলা আদালতের বিচারক অজয়কুমার বিশ্বেসের বেঞ্চে জ্ঞানবাপী মামলা স্থানান্তরিত হলেও ওজুখানার তালা খোলা হয়নি। চলতি বছরের গোড়ায় শীর্ষ আদালতে হিন্দু পক্ষের তরফে আবেদন জানানো হয়েছিল, দেড় বছরের উপর ‘সিল’ থাকা ওজুখানার জলাধারের মাছগুলি মরে গিয়ে পরিবেশ দূষিত করছে। ওজুখানার তথাকথিত ‘শিবলিঙ্গ’ দর্শনে গিয়ে হিন্দু ভক্তেরা বিড়ম্বনায় পড়ছেন বলেও জানানো হয় আবেদনে।

Advertisement

মঙ্গলবার প্রধান বিচারপতি চন্দ্রচূড়, বিচারপতি জেবি পারদিওয়ালা এবং বিচারপতি মনোজ মিশ্রের বেঞ্চ সেই আবেদন মেনে ওজুখানার জলাধার সংস্কারে সায় দিয়েছে। মসজিদ কমিটির তরফেও জলাধার সংস্কারের আবেদনের কোনও বিরোধিতা করা হয়নি। হিন্দু পক্ষের আইনজীবী বিষ্ণুশঙ্কর জৈন বলেন, ‘‘যে জলাধারে পবিত্র শিবলিঙ্গ রয়েছে, তাতে মরা মাছ ভাসা খুবই দৃষ্টিকটু। তাই আমরা শীর্ষ আদালতের কাছে জলাধার সাফাইয়ের আবেদন জানিয়েছিলাম।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement