ওয়াকফ আইনকে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে মামলা।
ওয়াকফ (সংশোধনী) আইন, ২০২৫-এর বিরুদ্ধে মামলার কি দ্রুত শুনানি করা উচিত? তা বিবেচনা করে দেখতে রাজি হয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। সংসদে বিলটি পাশ হওয়ার ৪৮ ঘণ্টার মধ্যেই রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর সম্মতি পেয়ে সেটি আইনে পরিণত হয়েছে। তবে ওই আইনের সাংবিধানিক গ্রহণযোগ্যতাকে চ্যালেঞ্জ করে গত কয়েক দিনে বেশ কিছু মামলা জমা পড়েছে শীর্ষ আদালতে। ওই আবেদনগুলির দ্রুত শুনানি হওয়া প্রয়োজন কি না, তা বিবেচনা করে দেখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি সঞ্জীব খন্নার বেঞ্চ।
অন্যতম মামলাকারী পক্ষ ‘জামিয়াত উলেমা-ই-হিন্দ’-এর হয়ে মামলা লড়ছেন আইনজীবী কপিল সিব্বল। সোমবার সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি খন্না, বিচারপতি সঞ্জয় কুমার এবং বিচারপতি কেভি বিশ্বনাথনের বেঞ্চের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন তিনি। আদালতকে তিনি জানান, ওয়াকফ সংক্রান্ত বেশ কিছু মামলা নথিভুক্ত হয়েছে এবং সেগুলির দ্রুত শুনানি হওয়া প্রয়োজন। সিব্বলের পাশাপাশি অপর দুই আইনজীবী অভিষেক মনু সিঙ্ঘভি এবং নিজাম পাশাও দ্রুত শুনানির আবেদন জানান প্রধান বিচারপতির এজলাসে।
বস্তুত, বিচারপতি খন্না শীর্ষ আদালতের প্রধান বিচারপতি হিসাবে দায়িত্ব গ্রহণের পরে দ্রুত শুনানির জন্য মৌখিক আবেদনের রেওয়াজ উঠিয়ে দিয়েছেন। সংবাদ সংস্থা পিটিআই জানিয়েছে, আইনজীবীদের এই বিষয়ে যথাযথ চিঠি বা ইমেল করে দ্রুত শুনানির জন্য আবেদন করতে বলেছেন সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি খন্না। তখন সিব্বল জানান, ইতিমধ্যে তিনি দ্রুত শুনানির জন্য সেই অনুযায়ী আবেদন জানিয়েছেন। তাতে প্রধান বিচারপতি জানান, “আমি বিকেলে ওই চিঠিটি দেখব এবং তার পরে সিদ্ধান্ত নেব।”
ওয়াকফ আইনের বিরুদ্ধে বিভিন্ন সংগঠন এবং রাজনৈতিক নেতৃত্ব শীর্ষ আদালতে মামলা করেছে। হায়দরাবাদের সাংসদ তথা অল ইন্ডিয়া মজলিস-ই-ইত্তেহাদুল মুসলিমিন (মিম) প্রধান আসাদউদ্দিন ওয়েইসির হয়ে সুপ্রিম কোর্টে মামলা লড়ছেন পাশা। ওয়েইসি ছাড়াও কংগ্রেস সাংসদ মহম্মদ জাভেদ, আম আদমি পার্টির সাংসদ আমানাতুল্লাহ খান এই আইনের গ্রহণযোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন তুলে শীর্ষ আদালতের দ্বারস্থ হয়েছেন।