প্রতীকী ছবি।
রবিবার, ছুটির দিনের সকালে, আচমকাই বিদ্যুৎ বিপর্যয়ে সাময়িক ভাবে থমকে গেল মুম্বই মহানগরী। বন্ধ গেল গেল মুম্বইয়ে পরিবহণের মেরুদণ্ড বলে পরিচিত লোকাল ট্রেনের পরিষেবাও। অবশ্য সওয়া এক ঘণ্টার মধ্যেই পরিস্থিতি ফের স্বাভাবিক হওয়ায় হাঁফ ছেড়ে বাঁচল মহানগরী।
রবিবার সকাল ৯.৪০-এর কিছু পরেই আচমকা বিদ্যুৎহীন হয়ে পড়ে মুম্বইয়ের বিস্তীর্ণ এলাকা। মধ্য মুম্বইয়ের সিওন, দাদার, মাটুঙ্গা ছাড়াও দক্ষিণ মুম্বইয়ের একাধিক জায়গায় বিদ্যুৎ পরিষেবা বন্ধ হয়ে যায়। বিদ্যুৎ না থাকায় পশ্চিম রেলের চার্চগেট এবং অন্ধেরীর মধ্যে ট্রেন চলাচলও থমকে যায়। পশ্চিম রেলের তরফে এক বিবৃতিতে জানানো হয়, টাটা পাওয়ার সাপ্লাইয়ে বিভ্রাটের কারণে ৯.৪২ থেকে চার্চগেট থেকে অন্ধেরীর মধ্যে কোনও ট্রেন চলাচল করেনি। পরে যোগেশ্বরী সাব-স্টেশন থেকে বিদ্যুৎ সরবরাহ চালু করা হলে ১০.৪৪ থেকে ফের শুরু হয় ট্রেন চলাচল।
সরকারি সূত্রের দাবি, মহারাষ্ট্র সরকারের নিয়ন্ত্রণাধীন বিদ্যুৎ ও পরিবহণ সংস্থা বৃহন্মুম্বই ইলেকট্রিক সাপ্লাই এন্ড ট্রান্সপোর্ট (বেস্ট) গোটা শহরে বিদ্যুৎ সরবরাহ করে। এই সংস্থাটি টাটা পাওয়ারের কাছ থেকে বিদ্যুৎ নিয়ে তা সরবরাহ করে। এ দিন এক বিবৃতিতে টাটা পাওয়ারের মুখপাত্র জানান, গোটা ঘটনার জন্য দায়ী ঠাণের কালোয়া থেকে ট্রম্বে পর্যন্ত মহারাষ্ট্র রাজ্য বিদ্যুৎ পরিবহণ কোম্পানির লাইন। ওই লাইনে ভোল্টেজের বড় মাপের ওঠানামার জন্য ট্রম্বে সালসেট-১ ইউনিটটি ট্রিপ করে যায় বলে সংস্থার তরফে জানানো হয়। যদিও জলবিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্রে তার প্রভাব পড়েনি এবং তার জেরেই দ্রুত পরিস্থিতি সামাল দেওয়া গিয়েছে বলে সংস্থার তরফে জানানো হয়েছে।
মহানগরীতে এত বিপর্যয়ের পরে মুম্বইয়ের বাসিন্দাদের অনেকেই সোশ্যাল মিডিয়ায় তা নিয়ে উদ্বেগ এবং ক্ষোভ জানান। পরিস্থিতি সামাল দিতে বৃহন্মুম্বই পুরসভার তরফে এক টুইট বার্তায় গোটা ঘটনার জন্য নাগরিকদের কাছে দুঃখপ্রকাশ করে। সংস্থার তরফে জানানো হয়, কারিগরি কিছু সমস্যার জন্য এমনটা হয়েছে। পরিস্থিতি দ্রুত স্বাভাবিক করার আশ্বাসও দেওয়া হয়। বেলা ১১টা নাগাদ গোটা মুম্বইয়ের বিদ্যুৎ পরিষেবা স্বাভাবিক হয় বলে সরকারি সূত্রে জানানো হয়েছে।