—প্রতীকী ছবি।
স্কুলে ছাত্রছাত্রীদের সংখ্যা দু’শোরও বেশি। কিন্তু স্কুলে যাওয়ার জন্য সাঁতার কাটতে হয় পড়ুয়াদের। সেই কারণে ক্রমশ কমে যাচ্ছে পড়ুয়াদের উপস্থিতি। বর্ষার সময় পরিস্থিতির আরও অবনতি হয়। সাঁতারের সময় সাপের কামড় খাওয়ার ভয় বাসা বাঁধে ছাত্রছাত্রীদের মনে। প্রাণের ভয়ে মাঝপথে পড়াশোনাই ছেড়ে দিচ্ছেন অধিকাংশ পড়ুয়া। মধ্যপ্রদেশের দাতিয়া জেলার নারেতা গ্রামের চিত্র এ রকমই।
নারেতা গ্রামের স্কুলে মোট পড়ুয়ার সংখ্যা ২২৪ জন। কিন্তু বর্ষার সময় সেই সংখ্যা কমে গিয়ে দাঁড়ায় ১০০-য়। স্কুল কর্তৃপক্ষের দাবি, সেই ১০০ জন পড়ুয়ার মধ্যে ৭০ জনই ছাত্রী। তাঁদের অভিযোগ, স্কুলের কাছে বেশ কয়েকটি খাল রয়েছে। বর্ষাকালে সেই খালগুলি থেকে পুকুরের দিকে জল চলে আসে।
অন্য সময় হেঁটে পুকুর পার করে নিলেও বর্ষাকালে পুকুরে জলের পরিমাণ অত্যধিক হারে বেড়ে যাওয়ায় সাঁতার কেটে পার করতে হয় ছাত্রছাত্রীদের। সেই সময় সাপের উপদ্রব বেড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। প্রাণের ঝুঁকি নিয়ে স্কুলে পড়তে যায় পড়ুয়ারা। স্কুলে পৌঁছনোর পর ভেজা গায়ে ক্লাসও করতে হয় তাদের। স্কুল কর্তৃপক্ষের দাবি, পুকুরের উপর দিয়ে সেতু তৈরির আবেদন জানালেও কোনও ব্যবস্থা নেয়নি প্রশাসন।
বৃহস্পতিবার ওই গ্রামের স্কুলে নিরীক্ষণ চলাকালীন এই সমস্যার কথা প্রকাশ্যে আসে। গ্রাম পঞ্চায়েতের আধিকারিক কমলেশ ভার্গব এই প্রসঙ্গে জানান, ইতিমধ্যেই এক জন ইঞ্জিনিয়ার জায়গাটি পর্যবেক্ষণ করে গিয়েছেন। খুব তাড়াতাড়ি এই সমস্যার সমাধান হবে বলে আশ্বাস দিয়েছেন তিনি।