গণটুকলিতে সাহায্য করছেন বহিরাগতরা। ফাইল চিত্র।
চলছিল দ্বাদশ শ্রেণির পরীক্ষার খাতা দেখা। সেই খাতা দেখতে দেখতে চোখ কপালে উঠল গুজরাত সেকেন্ডারি অ্যান্ড হায়ার সেকেন্ডারি এডুকেশন বোর্ডের শিক্ষকদের। খাতা দেখতে গিয়ে তাঁরা দেখলেন, দ্বাদশ শ্রেণির ৯৫৯ জন পরীক্ষার্থীর খাতায় যা উত্তর লেখা আছে, তা হুবহু এক। শুধু তাই নয়, ওই সব উত্তরপত্রে যে ভুলগুলি আছে তাও মিলে যাচ্ছে।
গণটুকলির এই ঘটনা সামনে আসতেই নড়েচড়ে বসেছেন বোর্ড কর্তারা। তাঁরা জানিয়েছেন, রাজ্যে দ্বাদশ শ্রেণির পরীক্ষায় এত বড় গণটুকলির ঘটনা আগে কখনও ঘটেনি। অ্যাকাউন্টিং, অর্থনীতি, ইংরাজি সাহিত্য এবং রাশিবিজ্ঞানে এই টুকলির হার সবথেকে বেশি দেখতে পাওয়া গিয়েছে বলে জানানো হয়েছে বোর্ডের তরফে।
বিষয়টি সামতে আসতেই দানা বেঁধেছে বিতর্ক। টুকলি করে পরীক্ষা দেওয়া ওই সব পরীক্ষার্থীর ফল ২০২০ সাল অবধি আটকে রাখা হবে বলে জানানো হয়েছে বোর্ডের তরফে। এই টুকলির ঘটনাগুলি যে সকল পরীক্ষাকেন্দ্রে ঘটেছে, নজরে রাখা হচ্ছে সেই সব কেন্দ্রগুলিও। জানা গিয়েছে, জুনাগড় ও গির-সোমনাথ জেলাতেই এই গণটুকলির ঘটনা বেশি ঘটেছে।
যদিও পরীক্ষায় টুকলির ঘটনা আমাদের দেশে এই প্রথম নয়। এর আগেও বিভিন্ন জায়গায় টুকলির ঘটনা সামনে এসেছে। কিন্তু এক সঙ্গে এত জনের টুকলির ঘটনা বেশ বিরল বলেই মনে করছেন বোর্ড কর্তারা।
আরও পড়ুন: জীবনের সঞ্চয় দেশের প্রতিরক্ষার জন্য দিলেন বায়ুসেনার এই প্রাক্তন কর্মী
আরও পড়ুন: ছ’বছরের বালিকাকে নিগ্রহের অভিযোগে যুবককে রাস্তায় নগ্ন করে পেটালেন মহিলারা