National news

বাড়িতে ঢুকে জেএনইউ উপাচার্যের স্ত্রীকে আটকে রাখলেন ছাত্রেরা

জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয়ের (জেএনইউ) একদল ছাত্রদের বিরুদ্ধে অভিযোগ করলেন খোদ জেএনইউয়ের উপাচার্য এম জগদেশ কুমার।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ২৬ মার্চ ২০১৯ ১১:১৯
Share:

দিল্লির জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য এম জগদেশ কুমার। ছবি: টুইটার থেকে নেওয়া।

জোরজবরদস্তি বাড়িতে ঢুকে স্ত্রীকে কয়েক ঘণ্টা ধরে ভিতরে আটকে রাখার অভিযোগ উঠল দিল্লির জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয়ের (জেএনইউ) একদল ছাত্রদের বিরুদ্ধে। অভিযোগ করলেন খোদ জেএনইউয়ের উপাচার্য এম জগদেশ কুমার।

Advertisement

এই আগ্রাসী আচরণের জন্য তিনি অবশ্য এখনও পুলিশে কোনও অভিযোগ করেননি তাঁর ছাত্রদের বিরুদ্ধে। শুধু টুইট করে বিষয়টি সকলের নজরে এনেছেন। এই ঘটনার পর তাঁর স্ত্রী এতটাই অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন যে তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যেতে হয় বলে জানিয়েছেন তিনি।

প্রথম টুইটে তিনি লেখেন, ‘জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয়ে আমার বাড়িতে কয়েকশো ছাত্র ঢুকে পড়েন। ঘরের ভিতর অনেকক্ষণ আমার স্ত্রীকে আটকে রাখা হয়। তিনি বাড়িতে একা ছিলেন, খুব ভয় পেয়ে গিয়েছিলেন। এটা খুবই দুর্ভাগ্যজনক। এটা কী ধরনের আন্দোলন? বাড়িতে একা মহিলাকে ভয় দেখানো?’

Advertisement

আরও পড়ুন: ইভিএম-এ স্বচ্ছতা নিয়ে প্রশ্ন তুলল সুপ্রিম কোর্টও

পরে আরও একটি টুইট করে জানান, ‘গত রাতে জেএনইউ বাসভবনের সামনে ছাত্রদের আগ্রাসী আচরণ খুবই নিন্দনীয়। আমি বা আমার স্ত্রী কেউই পুলিশে অভিযোগ জানাইনি। আমরা তাঁদের ক্ষমা করে দিয়েছি। তাঁদের ভাল হোক কামনা করছি এবং আশা রাখছি তাঁরা নিজেদের শুধরে নেবেন এবং ভবিষ্যতে এ রকম কাজ আর করবেন না।’

'

দিল্লি দখলের লড়াই, লোকসভা নির্বাচন ২০১৯

সূত্রের খবর, গত এক সপ্তাহ ধরেই জেএনইউয়ে অনলাইন ভর্তির পরীক্ষার বিরুদ্ধে অনশন চালাচ্ছেন ছাত্রেরা। এর আগেও তাঁরা একবার উপাচার্যের সঙ্গে দেখা করতে তাঁর বাসভবনে গিয়েছিলেন। তখন তাঁদের সঙ্গে এ বিষয়ে কোনও আলোচনা করেননি তিনি, মিষ্টি খাইয়ে বিদায় জানিয়েছিলেন। আর সোমবার সন্ধ্যায় যখন এই ঘটনা ঘটে, তিনি বাড়ি ছিলেন না বলে উপাচার্যের দাবি।

আগ্রাসী আচরণের বিষয়টা অবশ্য পুরোপুরি অস্বীকার করেছেন ছাত্রেরা। এক ছাত্রের অভিযোগ, ‘‘আমরা উপাচার্যের সঙ্গে দেখা করার জন্যই তাঁর বাড়িতে গিয়েছিলাম। উল্টে নিরাপত্তারক্ষীরা আমাদের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করেন। অনেক ছাত্র জখমও হয়েছেন।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement