অন্ধকার ঘরে মোবাইল ফোনের টর্চ জ্বালিয়ে পরীক্ষা।
পরীক্ষার মাঝে বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যাওয়ায় পরীক্ষার্থীদের মোবাইলের টর্চ জ্বালিয়ে উত্তর লেখার নির্দেশ দিল বিহারের মুঙ্গেরের এক নামী কলেজ। তাদের এই নির্দেশ ঘিরে শোরগোল পড়ে গিয়েছে।
বুধবার কলেজে বিএ প্রথম বর্ষের ইতিহাস পরীক্ষা চলছিল। তখন ঝড়বৃষ্টি শুরু হতেই বিদ্যুৎ চলে যায়। দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার জন্য অন্ধকার নেমে এসেছিল। পরীক্ষার হলগুলিতে আলো জ্বালিয়ে দেওয়া হয়। পরীক্ষা যখন মাঝপথে হঠাৎই আলো নিভে যায়। কলেজের জেনারেটর চালিয়ে বিদ্যুৎ চালু করার ব্যবস্থা করা হয়। কিন্তু অভিযোগ, জেনারেটর কাজ করছিল না। ফলে কলেজ কর্তৃপক্ষ পরীক্ষার্থীদের বলেন, মোবাইলের টর্চ জ্বালিয়ে বাকি পরীক্ষা শেষ করতে।
কলেজ কর্তৃপক্ষের এমন নির্দেশে আতান্তরে পড়েন পরীক্ষার্থীরা। এক পরীক্ষার্থী বলেন, “আমরা তখন উত্তর লিখছিলাম। হঠাৎই বিদ্যুৎ চলে যায়। দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার কারণে ঘর পুরো অন্ধকার হয়ে গিয়েছিল। কলেজ কর্তৃপক্ষ জেনারেটর চালিয়ে আলো জ্বালানোর চেষ্টা করেন। কিন্তু জেনারেটরই বিকল হয়ে গিয়েছিল। এর পরই আমাদের বলা হয় মোবাইলের টর্চ জ্বেলে পরীক্ষা দিতে হবে।”
ওই পরীক্ষার্থী আরও বলেন, “এক হাতে মোবাইলের আলো ধরে রাখা, অন্য হাতে উত্তর লেখা খুবই সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছিল।” কলেজ কর্তৃপক্ষের এই ধরনের অব্যবস্থা নিয়ে সরব হয়েছেন পরীক্ষার্থীরা।
বিষয়টি নিয়ে বিতর্ক তুঙ্গে, কলেজের এক আধিকারিক সঞ্জয় ভারতী বলেন, “আমরা অসহায় ছিলাম। জেনারেটর চালু হচ্ছিল না। যে হেতু পরীক্ষা বাতিল করা সম্ভব ছিল না, তাই বাধ্য হয়েই পরীক্ষার্থীদের মোবাইলের টর্চ জ্বালিয়ে লিখতে বলা হয়েছে।” একই সঙ্গে প্রশ্ন উঠছে, পরীক্ষাকেন্দ্রে কী ভাবে মোবাইল ব্যবহারের অনুমতি দিলেন কলেজ কর্তৃপক্ষ। যদিও এ বিষয়ে নীরবই থেকেছেন সঞ্জয়।
মুঙ্গের বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক রাম আশিস বলেন, “পরীক্ষাকেন্দ্রের সুপারকে শো কজ করা হয়েছে। কেন বিকল্প ব্যবস্থা ছিল না, তার জবাব চাওয়া হয়েছে।” একই সঙ্গে সব কলেজগুলিকে নির্দেশ দিয়েছেন, এ রকম অবস্থা হলে তাঁরা যেন বিকল্প রাস্তা তৈরি রাখেন।