আত্মঘাতী সেই ছাত্র
থামছে না নীল তিমির আতঙ্ক। মহারাষ্ট্র, কেরল, উত্তরপ্রদেশের পর তার নয়া শিকারের খোঁজ মিলল তামিলনাড়ুতে।
মাদুরাইয়ের তিরুমঙ্গলম এলাকার ১৯ বছর বয়সি ছাত্র বিগনেশ বুধবার আত্মহত্যা করেন। বিকেল সওয়া চারটে নাগাদ তাঁর দেহ ঝুলন্ত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়।
পুলিশ জানিয়েছে, বিগনেশের বাঁ হাতে তিমির ছবি আঁকা ক্ষত ছিল। তার নীচে লেখা ছিল ‘ব্লু হোয়েল’। সুইসাইড নোটে ছাত্রটি লিখেছিলেন, ‘‘ব্লু হোয়েল কোনও খেলা নয়। সাক্ষাৎ বিপদ। এখানে ঢোকা যায়, বেরনো যায় না।’’ ইতিমধ্যেই বিশ্বজুড়ে ‘ব্লু হোয়েল’ খেলার মূল ‘অ্যাডমিন’ হিসেবে কাজ করার অভিযোগে রাশিয়ায় ১৭ বছরের এক কিশোরীকে গ্রেফতার করেছে সে দেশের পুলিশ।
তদন্তে জানা গিয়েছে, বিগনেশ গত ৫০ দিন ধরে গেমটি খেলছিলেন। ছাত্রটির বন্ধুরা জানিয়েছেন, তাঁকে ফোনে ‘ব্লু হোয়েল চ্যালেঞ্জ’-এ বুঁদ থাকতে দেখেছেন তাঁরা। ফোনটি বাজেয়াপ্ত করেছে পুলিশ। বিগনেশের কোনও বন্ধু এই মারণফাঁদে পা দিয়েছেন কিনা, খতিয়ে দেখছে পুলিশ। বিষয়টি তদন্তের জন্য বিশেষ দল তৈরি হয়েছে। তাতে রয়েছেন সাইবার-অপরাধ বিভাগের বিশেষজ্ঞদের।
মাদুরাই জেলার পুলিশ সুপার মণিভানন বলেন, ‘‘আমরা আলাদা হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ তৈরি করেছি। কোনও বাবা-মা-র যদি সন্দেহ হয় ছেলেমেয়ে এই খেলায় আসক্ত,
তাঁরা তখনই আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারেন। আমরা তখনই কাউন্সেলরকে নিয়ে তাঁর বাড়ি পৌঁছে যাব।’’
কিছু দিন আগেই তামিলনাড়ু পুলিশ একটি সার্কুলার জারি করে। তাতে অভিভাববকদের বলা হয়, ব্লু হোয়েলের কবল থেকে বাঁচাতে ছেলেমেয়েদের কম্পিউটার বা মোবাইলে নজর রাখতে। তার পরও এড়ানো গেল না দুর্ঘটনা। তাই, পুলিশ অভিভাবকদের আরও কড়া হতে অনুরোধ করেছে। রাশিয়ায় জন্ম নেওয়া এই মারণখেলার শিকার বিশ্বজুড়ে একশোরও বেশি।