করিমগঞ্জ কলেজে ছাত্র সংঘর্ষ, উত্তেজনা জেলায়

করিমগঞ্জ কলেজে দু’দল ছাত্রের মারপিট ঘিরে উত্তেজনা ছড়াল গোটা জেলায়। জেলাসদর-সহ শহরতলিতেও অবরোধ করা হয় জাতীয় সড়ক। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাস্তায় নামেন জেলাশাসক, পুলিশ সুপার।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

করিমগঞ্জ শেষ আপডেট: ২৬ জুলাই ২০১৬ ০৩:১৯
Share:

করিমগঞ্জ কলেজে অশান্তির জেরে পড়ুয়াদের পথ অবরোধ। সোমবার উত্তম মুহরীর তোলা ছবি।

করিমগঞ্জ কলেজে দু’দল ছাত্রের মারপিট ঘিরে উত্তেজনা ছড়াল গোটা জেলায়।

Advertisement

জেলাসদর-সহ শহরতলিতেও অবরোধ করা হয় জাতীয় সড়ক। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাস্তায় নামেন জেলাশাসক, পুলিশ সুপার। সাংবাদিক বৈঠক করে করিমগঞ্জ কলেজের ছাত্রদের একাংশ নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে বলে দাবি করেন প্রাক্তন মন্ত্রী সিদ্দেক আহমেদ।

অতীতে দেখা গিয়েছে, করিমগঞ্জ কলেজে ছোটখাটো কোনও ঘটনাতেই জাতীয় সড়ক অবরোধ করে ছাত্ররা। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে খবর, আজ মোটরসাইকেল নিয়ে দু’জন ছাত্র কলেজ চত্বরে প্রবেশ করে। কয়েক জন ছাত্র তাতে প্রতিবাদ জানায়। দু’পক্ষে হাতাহাতি শুরু হয়। আহত হয় এক ছাত্র। পুলিশের কাছে খবর যায়। কলেজে পৌঁছন ডিএসপি (সদর) রণবীর শর্মা। কলেজের অধ্যক্ষ মৃণালকান্তি ভট্টাচার্যের সঙ্গে দেখা করেন পুলিশকর্তা।

Advertisement

সে কথা জেনে কয়েক জন ছাত্র অধ্যক্ষের ঘরে যায়। তারা জানতে চায়, অধ্যক্ষ পুলিশকে ডাকলেন কেন। অধ্যক্ষ জানান, তিনি পুলিশকে ডাকেননি। ডিএসপি রণবীর শর্মা তাঁকে জানান, ছাত্রদের মারপিটে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি হলে পুলিশ আসবেই। ছাত্রদের সংযত থাকার পরামর্শ দেন তিনি। এর পরই এক দল ছাত্র জাতীয় সড়ক অবরোধ করে। তাদের অভিযোগ ছিল, ডিএসপি ছাত্রদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করেছেন। তাঁকে ক্ষমা চাইতে হবে। খবর পেয়ে সেখানে পৌঁছন পুলিশ সুপার প্রদীপরঞ্জন কর। কলেজ কর্তৃপক্ষ, ছাত্রদের সঙ্গে বৈঠক করেন তিনি। এর পরই অবরোধ প্রত্যাহার করা হয়। কিন্তু কলেজে ছাত্রদের মধ্যে মারপিটের ঘটনা নিয়ে গুজব ছড়িয়ে যায় গোটা জেলায়। খবর রটে, ছাত্রদের আটকে রেখে মারধর করা হচ্ছে। পুলিশ, সিআরপি তাদের উদ্ধার করতে পারেনি। এর পরই শহরতলি কানিশাইল, ভাঙ্গা এলাকায় অবরোধ করা হয় জাতীয় সড়ক। কানিশাইলে জাতীয় সড়ক অবরোধ প্রত্যাহার করাতে জেলাশাসক মনোজ কুমার ডেকা সেখানে পৌঁছন। অবরোধকারীদের সঙ্গে তাঁর কার্যালয়ে বৈঠক করেন। তাঁকে জানানো হয়, করিমগঞ্জ কলেজ কর্তৃপক্ষ কোনও ভাবেই ছাত্রদের নিয়ন্ত্রণ করতে পারছেন না। একের পর এক ঘটনা ঘটলেও কলেজ কর্তৃপক্ষ কোনও ব্যবস্থা গ্রহণ করেন না। ফের সেখানে এ ধরনের ঘটনার পুনরাবৃত্তি হলে জেলাজুড়ে প্রতিবাদ আছড়ে পড়বে। করিমগঞ্জ কলেজের ঘটনাকে কেন্দ্র করে সাংবাদিক বৈঠক করেন প্রাক্তন মন্ত্রী সিদ্দেক আহমেদ। তিনি বলেন, ‘‘কলেজ কর্তৃপক্ষের দুর্বল মনোভাবের জন্য ছাত্রের একাংশ কিছুর তোয়াক্কা করছে না। করিমগঞ্জ কলেজ এবং শহরে আসতে ভয় পাচ্ছে তারা। পরিস্থিতি না বদলালে জেলায় অশান্তি আরও হতে পারে।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement