Laxman Kewat

‘কত জনকে যে মেরেছি, গোনা ছেড়ে দিয়েছি’! বলছেন মাওবাদীদের ত্রাস এনকাউন্টার বিশেষজ্ঞ লক্ষ্মণ

বছর আটত্রিশের লক্ষ্মণ পাখাঞ্জুর থানার স্টেশন হাউস অফিসার (এসএইচও)। তিনিই এখন মাওবাদীদের ত্রাস হয়ে উঠেছেন। ছত্তীসগঢ়ের পুলিশ মহলে তিনি ‘এনকাউন্টার মাস্টারমাইন্ড’ হিসাবেও পরিচিত।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক

কলকাতা শেষ আপডেট: ১৮ এপ্রিল ২০২৪ ১৬:৪৪
Share:

এনকাউন্টার মাস্টারমাইন্ড লক্ষ্মণ কেওয়াত। ছবি: সংগৃহীত।

কত জনকে তিনি মেরেছেন, আপাতত সেই সংখ্যা গোনা ছেড়ে দিয়েছেন। দু’দিন আগেই ছত্তীসগঢ়ের কাঁকেরে মাওবাদীদের ‘মুক্তাঞ্চলে’ অভিযান চালিয়েছিল বিএসএফ এবং ডিস্ট্রিক্ট রিজ়ার্ভ গার্ড (ডিআরজি)-এর যৌথবাহিনী। কাঁকেরের সেই অভিযানের ‘মাস্টারমাইন্ড’ ছিলেন ইনস্পেক্টর লক্ষ্মণ কেওয়াত। সেই অভিযান প্রসঙ্গে এক সংবাদমাধ্যমে বলতে গিয়ে লক্ষ্মণ বলেন, “কত জনকে মেরেছি, গোনা ছেড়ে দিয়েছি।” বীরত্বের জন্য ছ’বার পুরস্কার পাওয়া সেই লক্ষ্মণই কাঁকেরে মাওবাদী দমনে ২০০ বিএসএফ এবং ডিআরজি জওয়ানদের নেতৃত্ব দিয়েছেন।

Advertisement

পাখাঞ্জুর থানার স্টেশন হাউস অফিসার (এসএইচও) বছর আটত্রিশের লক্ষ্মণ। তিনিই এখন মাওবাদীদের ত্রাস হয়ে উঠেছেন। ছত্তীসগঢ়ের পুলিশ মহলে তিনি ‘এনকাউন্টার মাস্টারমাইন্ড’ হিসাবেও পরিচিত। কাঁকেরে অভিযানের আগে বেশ কয়েকটি অভিযানে ৪৪ জন মাওবাদীকে খতম করেছেন তিনি। জেলার পুলিশ সুপার কল্যাণ এলেসেলা জানিয়েছেন, মঙ্গলবার কাঁকেরে যে অভিযান চালানো হয়েছিল, তার নেতৃত্বে ছিলেন লক্ষ্মণ।

কী ভাবে এই অভিযান চালানো হয়েছিল তা এক সংবাদমাধ্যমে জানান লক্ষ্মণ। তিনি জানিয়েছেন, কোতারি নদীর ও পার মাওবাদীদের ‘মুক্তাঞ্চল’। গত ১৩ এপ্রিল গোয়েন্দা সূত্রে খবর পান বড় সংখ্যায় মাওবাদীরা জমায়েত করেছেন ছোটেবেতিয়ার কাছে। ১৬ এপ্রিল ওই এলাকায় অভিযানের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। বিএসএফ, ডিআরজি, বস্তার ফাইটার্স-এর ২০০ জনের যৌথবাহিনী লক্ষ্মণের নেতৃত্বে অভিযানে যান। লক্ষ্মণ বলেন, “সকাল ১০টায় কোতারি নদী পার করতেই মাওবাদী সদস্যদের কয়েক জন বাজি ফাটিয়ে তাঁদের শীর্ষনেতৃত্বকে সতর্ক করে দেন। আমরাও তিনটি দলে ভাগ হয়ে এগোচ্ছিলাম।” ঘন জঙ্গলে ঘেরা পাহাড় থেকে তাঁদের লক্ষ্য করে গুলি ছুটে আসছিল। কোন দিক থেকে হামলা চালালে মাওবাদীরা পালানোর সুযোগ পাবে না, সেই ছকও কষে নিয়েছিলেন লক্ষ্মণরা। চার ঘণ্টা ধরে গুলির লড়াই চলেছিল। তাতেই ২৯ জন মাওবাদী নিহত হন।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement