Supreme Court

‘মাই লর্ড’ সম্বোধনে অসন্তুষ্ট সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি, নিজের অর্ধেক বেতন দিতে চান আইনজীবীকে!

২০০৬ সালে ভারতের বার কাউন্সিল একটি প্রস্তাব পাশ করিয়ে সিদ্ধান্ত নিয়েছিল যে, কোনও আইনজীবী আর বিচারপতিদের ‘মাই লর্ড’ কিংবা ‘ইয়োর লর্ডশিপ’ বলে সম্বোধন করবেন না।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ০৩ নভেম্বর ২০২৩ ১০:১৮
Share:

সুপ্রিম কোর্ট। —ফাইল চিত্র।

আদালতে বিচারক কিংবা বিচারপতিকে ‘মাই লর্ড’ কিংবা ‘ইয়োর লর্ডশিপস’ বলে সম্বোধন করা এক সময় দস্তুর ছিল। পরে যদিও এই অলিখিত নিয়ম প্রায় শিথিল হয়ে যায়। কিন্তু এই ‘মাই লর্ড’ সম্বোধনেই এ বার অসন্তোষ প্রকাশ করলেন সুপ্রিম কোর্টের এক বিচারপতি।

Advertisement

শীর্ষ আদালতে একটি মামলার শুনানি চলার সময়ে এক আইনজীবী তাঁকে বার বার ওই ভাবে বার বার সম্বোধন করে যাওয়ায় বিরক্ত বিচারপতি জানান, তাঁকে ‘মাই লর্ড’ বলা বন্ধ করা হলে তিনি প্রয়োজনে নিজের বেতনের অর্ধেক দিয়ে দেবেন। ঘটনাটি গত বুধবারের।

ওই দিন একটি মামলার শুনানি চলছিল বিচারপতি পিএস নরসিংহ এবং বিচারপতি এএস বোপান্নার বেঞ্চে। এক প্রবীণ আইনজীবী বিচারপতি নরসিংহকে বার বার ‘মাই লর্ড’ বলে সম্বোধন করছিলেন। এই সম্বোধনে বিরক্ত হয়ে ওই আইনজীবীকে বিচারপতি বলেন, “আর কত বার আপনি আমাকে ‘মাই লর্ড’ বলবেন? আপনি যদি এটা বলা বন্ধ করেন, তবে আমি আপনাকে আমার অর্ধেক বেতন দিয়ে দেব।” কেন তাঁকে ‘স্যর’ বলে সম্বোধন করা হচ্ছে না, সেই প্রশ্নও তোলেন বিচারপতি।

Advertisement

প্রসঙ্গত, ২০০৬ সালে ভারতের বার কাউন্সিল একটি প্রস্তাব পাশ করিয়ে সিদ্ধান্ত নিয়েছিল যে, কোনও আইনজীবী আর বিচারপতিদের ‘মাই লর্ড’ কিংবা ‘ইয়োর লর্ডশিপ’ বলে সম্বোধন করবে না। তার পরিবর্তে ‘স্যর’ বলে সম্বোধন করা হবে স্থির হয়েছিল। যদিও তার পরেও সম্বোধনের পুরনো প্রথা এখনও মেনে চলেন অনেকেই। এই প্রথার বিরোধী যাঁরা, তাঁদের মত হল, ‘মাই লর্ড’ সম্বোধনের মধ্যে ঔপনিবেশিক এবং দাসত্বের একটা ব্যাপার লুকিয়ে আছে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement