গ্রাফিক: সনৎ সিংহ।
উত্তরপ্রদেশের হাথরসে এক ধর্মীয় অনুষ্ঠানে মঙ্গলবার পদপিষ্ট হয়ে মৃত্যু হয়েছে অন্তত ৫০ জনের। সংসদে ভাষণ দেওয়ার সময় বিষয়টি জানতে পারেন প্রধানমন্ত্রী মোদী। তার পরেই তিনি বক্তৃতা থামিয়ে শোকপ্রকাশ করেন। তার পরেই এক্স (সাবেক টুইটার) হ্যান্ডলে পোস্ট করে ওই ঘটনায় ক্ষতিপূরণের কথা ঘোষণা করেছে প্রধানমন্ত্রীর দফতর। হাথরসের ঘটনায় শোকপ্রকাশ করেছেন রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু, পশ্চিমবঙ্গের মু্খ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, লোকসভার বিরোধী দলনেতা রাহুল গান্ধী, উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ।
মঙ্গলবার লোকসভায় জবাবি ভাষণ দিচ্ছিলেন মোদী। তার মাঝেই বিষয়টি জানতে পেরে ভাষণ থামিয়ে তিনি শোকপ্রকাশ করেন। সব রকমের সাহায্যের আশ্বাস দেন তিনি। প্রধানমন্ত্রী জানান, রাজ্য সরকার উদ্ধারকাজ করছে। এর পরে প্রধানমন্ত্রীর দফতর এক্স হ্যান্ডলে লিখেছে, ‘‘হাথরসের ঘটনায় মৃতদের পরিবারকে ২ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। প্রধানমন্ত্রীর জাতীয় ত্রাণ তহবিল থেকে এই টাকা দেওয়া হবে। আহতদের ৫০ হাজার টাকা করে ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে।’’ রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু এক্সে লিখেছেন, ‘‘হাথরসে মহিলা এবং শিশু-সহ বহু মানুষের মৃত্যুর খবর দুঃখজনক। যাঁরা নিজের পরিজনকে হারিয়েছেন, তাঁদের সমবেদনা জানাই। আহতদের দ্রুত আরোগ্য কামনা করছি।’’
বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতাও শোকপ্রকাশ করেন। তিনি এক্সে লিখেছেন, ‘‘উত্তরপ্রদেশের হাথরসে পদপিষ্ট হয়ে ২৭ জন (২৩ জন মহিলা এবং তিন শিশু)-এর মৃত্যুর খবর শুনলাম। তাঁদের পরিবারকে সমবেদনা জানাই।’’ কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ এক্সে জানিয়েছেন, এই খবর শুনে তাঁর মন ব্যথিত। স্থানীয় প্রশাসন উদ্ধারকাজে নেমেছে। মৃতদের পরিবারকে সমবেদনা জানিয়েছেন শাহ। আহতদের দ্রুত আরোগ্যও কামনা করেছেন।
লোকসভার বিরোধী দলনেতা রাহুলও শোকপ্রকাশ করেছেন এই ঘটনায়। তিনি জানিয়েছেন, এই ঘটনা খুবই দুঃখজনক। মৃতদের পরিজনকে সমবেদনা জানিয়েছেন রাহুল। এক্সে তিনি লিখেছেন, ‘‘সরকার এবং প্রশাসনের কাছে অনুরোধ, আহতদের যেন সব রকমের চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়। মৃতদের পরিবারকে সাহায্য করা হোক। ইন্ডিয়ার সকল কর্মকর্তাকে অনুরোধ, তাঁরা যেন উদ্ধারকাজে সাহায্য করেন।’’
এক্সে উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী আদিত্যনাথ জানিয়েছেন, আহতদের যুদ্ধকালীন তৎপরতায় হাসপাতালে ভর্তি এবং চিকিৎসা করানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আর কী কী পদক্ষেপ করা হয়েছে, তা-ও জানিয়েছেন তিনি। রাজ্যের মন্ত্রী লক্ষ্মীনারায়ণ চৌধুরী, সন্দীপ সিংহ, মুখ্যসচিব এবং পুলিশের ডিজি ঘটনাস্থলের উদ্দেশে রওনা হয়েছেন। তিনি লিখেছেন, ‘‘প্রভু শ্রীরামের কাছে প্রার্থনা, মৃতদের আত্মাকে তিনি যেন নিজের চরণে স্থান দেন, আহতদের শীঘ্রই সুস্থ করে দিন।’’
সংবাদ সংস্থা পিটিআই জানিয়েছে, রতিভানপুরে একটি ধর্মীয় অনুষ্ঠান চলছিল মঙ্গলবার। অনুষ্ঠান শেষ হতেই হুড়োহুড়ি পড়ে যায়। ওই অনুষ্ঠানে বিপুল সংখ্যক পুণ্যার্থী যোগ দিয়েছিলেন। পদপিষ্টের পরিস্থিতি তৈরি হয়। এই ঘটনায় ১১৬ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে প্রশাসন জানিয়েছে।