সীমা হায়দর এবং তাঁর স্বামী সচিন মীণা। ছবি: সংগৃহীত।
নেপাল হয়ে বাসে করে ভারতে ঢুকেছিলেন পাক বধূ সীমা হায়দর। সেই সময় ভারত-নেপাল সীমান্তে তাঁর পরিচয় ঠিক মতো খতিয়ে দেখা হয়নি কেন তা নিয়ে ইতিমধ্যেই অভিযোগ উঠতে শুরু করেছে। ওই দিন দায়িত্বে থাকা সশস্ত্র সীমা বল (এসএসবি)-এর দুই আধিকারিককে কর্তব্যের গাফিলতির অভিযোগে সাসপেন্ড করা হয়েছে বলে এসএসবি-র এর সূত্রের খবর।
এসএসবির ওই সূত্র জানিয়েছে, নেপাল থেকে উত্তরপ্রদেশের সীমান্ত জেলা সিদ্ধার্থনগর হয়ে অনেক গাড়ি এবং বাস ভারতে ঢোকে। গত ১৩ মে গাড়ির তল্লাশির দায়িত্বে ছিলেন এসএসবির ৪৩ ব্যাটেলিয়নের ইনস্পেক্টর সুজিত কুমার বর্মা এবং কনস্টেবল চন্দ্রকমল কলিতা। ওই দিনই নেপাল থেকে আসা একটি বাসে সীমা হায়দর এবং তাঁর চার সন্তান ছিলেন। কেন তাঁদের পরিচয় ঠিক ভাবে খতিয়ে দেখা হয়নি, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতেই দুই আধিকারিকের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করল এসএসবি।
এসএসবির ওই সূত্র সংবাদ সংস্থা পিটিআইকে জানিয়েছে, ইনস্পেক্টর সুজিত এবং কনস্টেবল চন্দ্রকমলকে সাসপেন্ড করা হয়েছে। তাঁদের বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু হয়েছে। কোথায় গাফিলতি ছিল, ওই দিন তল্লাশির সময় দুই আধিকারিকের ভূমিকাই বা কী ছিল, সব খতিয়ে দেখা হচ্ছে। সীমা হায়দর গ্রেটার নয়ডায় গ্রেফতার হওয়ার পরই প্রাথমিক একটি তদন্ত হয়েছে বলে জানিয়েছে এসএসবি। তবে সেই তদন্তে কী তথ্য হাতে এসেছে সে বিষয়ে কিছু খোলসা করেনি এসএসবির ওই সূত্র।
গত ১৩ মে ভারতে অবৈধ ভাবে ঢুকেছিলেন সীমা। বিষয়টি প্রকাশ্যে আসতেই গত ৪ জুলাই তাঁকে গ্রেফতার করে গ্রেটার নয়ডা পুলিশ। সীমাকে আশ্রয় দেওয়ার অভিযোগে গ্রেফতার করা সীমার প্রেমিক সচিন মীণা এবং তাঁর বাবা নেত্রপালকেও। যদিও পরে জামিনে ছাড়া পান তাঁরা সকলেই।