—ফাইল চিত্র।
এই প্রথম জৈব জ্বালানিতে সফল ভাবে আকাশে উড়ল বিমান। সোমবার টানা ২৫ মিনিট ধরে জৈব জ্বালানিতে দেহরাদূন থেকে দিল্লি উড়ে গেল একটি স্পাইসজেট বিমান। এ দিন অবশ্য বিমানটির পরীক্ষামূলক উড়ান ছিল।
দেহরাদূন জলি গ্রান্ট বিমানবন্দর থেকে বিমানটি ওড়ে এ দিন। এর সূচনা করেন উত্তরাখণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী ত্রিবেন্দ্র সিংহ রাওয়ত। স্পাইসজেট এবং অসামরিক বিমান মন্ত্রকের অফিসার-সহ মোট ২০ জনকে নিয়ে ওড়ে বিমানটি। দিল্লি বিমানবন্দরে বিমানটি অবতরণের সময় উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী নীতিন গডকড়ী, অসামরিক বিমান পরিবহণমন্ত্রী সুরেশ প্রভু, পেট্রোলিয়াম মন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধান ও আরও অনেকে।
স্পাইসজেট সূত্রের খবর, ছত্তীসগঢ়ের ৫০০ কৃষক পরিবার দেহরাদূন ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অব পেট্রোলিয়ামে এই জৈব জ্বালানি তৈরি করেছে। মূলত জাট্রোফা গাছের ফলের নির্যাস এবং বিমানে ব্যবহৃত টারবাইন তেল দিয়ে এই জৈব জ্বালানি প্রস্তুত করেছেন তাঁরা।
আরও পড়ুন: মহিলা যাত্রীকে ওলায় তুলেই পর্ন দেখতে শুরু করলেন চালক!
এই জ্বালানি বিমানের ক্ষেত্রেও যেমন ভাল, বিমান সংস্থাগুলির ক্ষেত্রেও অনেক লাভজনক। কারণ, অনেক কম খরচায় তা উৎপাদন করা যায়। এখনও পর্যন্ত সারা বিশ্বে শুধুমাত্র কানাডাতেই এ ভাবে জৈব জ্বালানিতে বিমান চালানো হয়। স্পাইসজেটের চেয়ারম্যান এবং ম্যানেজিং ডিরেক্টর অজয় সিংহ বলেন, ‘‘এর ফলে ৫০ শতাংশ জ্বালানি খরচ কমবে। তাতে যাত্রীদের ভাড়াও কমবে।’’ ২০২৫-এর মধ্যে ১০০ কোটি যাত্রী পরিবহন করার লক্ষ্য স্থির করেছে ভারতীয় বিমান সংস্থা।
কী থেকে তৈরি হয়েছে এই জৈব জ্বালানি?
• জাট্রোফা ফলের বীজ থেকে জৈব জ্বালানি প্রস্তুত হয়
• আগে গ্রামেগঞ্জে যানবাহনে জ্বালানি হিসাবে ব্যবহৃত হত
• এই ফলের বীজের ৪০ শতাংশই তেল
• ফলের নির্যাস বার করে পরিশ্রুতি ছাড়াই গাড়িতে ব্যবহৃত হত
• বিমানে বীজের নির্যাস এবং টারবাইন তেলের মিশ্রণ ব্যবহৃত হয়
তবে জৈব জ্বালানিতে শুধুমাত্র স্পাইসজেটই বিমান চালাবে না অন্যান্য বিমান সংস্থাগুলিও চালাবে, তা এখনও পরিষ্কার নয়।