জয়পুর বিমানবন্দরে সিআইএসএফ জওয়ানকে চড় বিমানকর্মীর। ছবি: এক্স।
বিমানবন্দরে কর্তব্যরত সিআইএসএফ কর্মীকে চড় মারার অভিযোগে বৃহস্পতিবার স্পাইসজেটের এক মহিলা নিরাপত্তারক্ষীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে জয়পুর এয়ারপোর্টে।
জয়পুর এয়ারপোর্টের স্টেশন হাউস স্টাফ রাম লাল জানিয়েছেন, ওই সিআইএসএফ কর্মী সিকিউরিটি চেকিংয়ের জন্য এক জন মহিলা সহকর্মীকেও ডেকে পাঠিয়েছিলেন, কিন্তু তার আগেই স্পাইসজেটের ওই মহিলা নিরাপত্তারক্ষী তাঁকে চড় মারেন। ঘটনার পর পরই তাঁকে গ্রেফতার করা হয়। ওই মহিলার বিরুদ্ধে ভারতীয় ন্যায় সংহিতার ১২১(১) এবং ১৩২ ধারায় মামলা রুজু করা হয়েছে। ঘটনার ভাইরাল সিসিটিভি ফুটেজ সমাজমাধ্যমে ঘুরছে (যদিও সেই ভিডিয়োর সত্যতা যাচাই করেনি আনন্দবাজার অনলাইন)। কিন্তু ঠিক কী নিয়ে বচসার সূত্রপাত, জানা যায়নি এখনও।
বৃহস্পতিবার ভোর সাড়ে চারটে নাগাদ ওই মহিলা বিমানকর্মী বিমানবন্দরের একটি দরজা দিয়ে বৈধ পাস না থাকা সত্ত্বেও ঢোকার চেষ্টা করছিলেন বলে অভিযোগ। তখনই তাঁকে বাধা দেন কর্তব্যরত সিআইএসএফ কর্মী। সে সময়ে কোনও মহিলা সিআইএসএফ কর্মী উপস্থিত না থাকায় সিকিউরিটি চেকিং এর জন্য এক মহিলা সহকর্মীকেও ডেকে পাঠান ওই সিআইএসএফ কর্মী। কিন্তু বচসা বাড়তে বাড়তে আচমকা এগিয়ে এসে তাঁকে চড় মারেন ওই মহিলা।
অন্য দিকে, স্পাইসজেট ওই অফিসারের বিরুদ্ধে পাল্টা অভিযোগ করেছে। বৃহস্পতিবারই একটি বিবৃতিতে তারা জানি়য়েছে, ওই মহিলার কাছে বিমানবন্দরে প্রবেশের বৈধ অনুমতিপত্র থাকা সত্ত্বেও তাঁকে আটকান ওই সিআইএসএফ কর্মী। তাঁকে এক পাশে ডেকে নিয়ে গিয়ে ডিউটি শেষে তাঁর সঙ্গে বাড়ি যাওয়ার কুরুচিকর প্রস্তাবও দেন। এর পরই ওই অফিসারকে চড় মারেন ওই মহিলা। ওই সিআইএসএফ কর্মীর বিরুদ্ধে যৌন হেনস্থার অভিযোগ করেছেন তিনি। স্পাইসজেট যাবতীয় আইনি প্রক্রিয়ায় ওই মহিলা কর্মীর পাশে থাকার আশ্বাস দিয়েছে।
সিআইএসএফ অবশ্য এ সব অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছে। সিআইএসএফ আধিকারিক নরপত সিং বলেন, ‘‘ওই অফিসার কোনও দোষ করেননি। তিনি তাঁর ডিউটি করছিলেন মাত্র। আমরা ওই মহিলার বিরুদ্ধে কর্তব্যরত সরকারি কর্মীকে হেনস্থার অভিযোগ দায়ের করেছি।’’
প্রসঙ্গত, কিছু দিন আগেই চণ্ডীগড় বিমানবন্দরে অভিনেত্রী কঙ্গনা রানাউতকে চড় মারেন জনৈকা নিরাপত্তারক্ষী। অতীতে কৃষক আন্দোলন নিয়ে কঙ্গনার কুমন্তব্যের জেরে এমন ঘটিয়েছিলেন ওই কর্মী।