— প্রতীকী চিত্র।
আসন্ন বাজেট অধিবেশনের প্রথমার্ধে বিরোধী মঞ্চ ‘ইন্ডিয়া’-র ভিতরে কোনও সমন্বয় দেখা যাবে না। কংগ্রেস সভাপতি তথা রাজ্যসভার বিরোধী দলনেতা মল্লিকার্জুন খড়্গের ঘরে কক্ষ সমন্বয়ের কৌশল তৈরি করতে যে বৈঠক হয়, সেখানেও দেখা যাবে না তৃণমূল, এসপি ও আপের নেতাদের। রাজ্যসভার চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে নতুন করে যৌথ ভাবে যে অনাস্থা প্রস্তাব আনার পরিকল্পনা রয়েছে বিরোধীদের, সেই উদ্যোগও অধিবেশনের প্রথমার্ধে দেখা যাবে না বলেই সূত্রের খবর।
পাঁচ ফেব্রুয়ারি দিল্লি বিধানসভার নির্বাচন এবং ৮ ফেব্রুয়ারি ফলাফল ঘোষণা। দিল্লিতে আপের বিরুদ্ধে লড়ছে কংগ্রেস। আপের পাশে দাঁড়িয়ে প্রচারে নামছেন এসপি নেতা অখিলেশ সিংহ যাদব এবং তৃণমূলের সাংসদ শত্রুঘ্ন সিনহা। স্বাভাবিক ভাবেই ‘ইন্ডিয়া’র মধ্যে কংগ্রেস বিরোধিতার যে সুর শোনা যাচ্ছে হরিয়ানা এবং মহারাষ্ট্রের নির্বাচনের পর,
সেটাই আরও একধাপ চড়েছে দিল্লির ভোটকে ঘিরে। তার প্রতিফলন অন্তত ৮ তারিখ পর্যন্ত বাজেট অধিবেশনে পড়বে বলেই জানাচ্ছেন বিরোধী নেতারা।
অন্য দিকে, তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কলকাতা বইমেলায় তাঁর সদ্য প্রকাশিত তিনটি বইয়ে কার্যত কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়েছেন কংগ্রেস নেতৃত্বকে। চব্বিশের লোকসভা ভোটের পর্যালোচনা করতে গিয়ে সেখানে তিনি বলেছেন, ‘আমরা ঐকান্তিক ভাবে চেয়েছিলাম জাতীয় স্তরে বিজেপির বিরুদ্ধে একটি শক্তিশালী বিরোধী ব্লক তৈরি করতে। গোড়াতেই আমরা বারবার বলছিলাম, ন্যূনতম অভিন্ন কর্মসূচি এবং ইস্তাহার তৈরি করার জন্য। বিরোধী মঞ্চের নামটাও আমারই প্রস্তাবমাফিক। জাতীয় এই ব্লকের নেতৃত্বের প্রস্তাব দেওয়া হয় কংগ্রেসকে। কিন্তু তা সত্ত্বেও না হয়েছে কোনও যৌথ ইস্তাহার, না হয়েছে ন্যূনতম অভিন্ন কর্মসূচি। এই ব্লক নিজেদের মধ্যেই লড়াই শুরু করে। তাতে বিজেপিরই সুবিধা হয় ক্ষমতা ধরে রাখতে।’ তাঁর আরও বক্তব্য, কংগ্রেস ইন্ডিয়া-র অন্য দলগুলির সাহায্যে অনেক আসন জিতেছে চব্বিশের লোকসভা ভোটে। পশ্চিমবঙ্গের কথা উল্লেখ করে তৃণমূল নেত্রীর অভিযোগ, কংগ্রেস গোপনে হাত মিলিয়েছিল বিজেপির সঙ্গে। তৃণমূলের সঙ্গে ভোটে লড়াই করে বিজেপির সুবিধা করে দিতে চাইছিল।
আজ দিল্লিতে তৃণমূলের রাজ্যসভার নেতা ডেরেক ও’ব্রায়েন বলেন, “তেইশ সালের জুন মাসে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় একটি ছোট্ট পরামর্শ দিয়েছিলেন সব বিরোধী দলকে। যে রাজ্যে যে দল শক্তিশালী তার পাশে অন্য দলগুলি সমর্থন দিয়ে লড়াই করুক। কংগ্রেস তা মানেনি। যৌথ ইস্তাহার হয়নি, কংগ্রেস আসন বণ্টন নিয়ে আলোচনাও শুরু করেনি তিনটি রাজ্যে (মধ্যপ্রদেশ, রাজস্থান ও ছত্তীসগঢ়) ভোট শেষ হওয়ার অপেক্ষায় ও নিজেদের ভাল ফলাফলের আশায়। ভেবেছিল আসন রফার ক্ষেত্রে নিজেদের শক্তি তারা বাড়িয়ে নিতে পারবে। পরিণতি কী হয়েছে সবাই দেখেছেন।”