তৃণমূল ‘অঙ্কে’ সনিয়ার সভায় নেই এসপি, বিএসপি-ও

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ১৯ জুন ২০১৯ ০২:৩৮
Share:

সংসদ ভবনে বিরোধীদের বৈঠকের আগে সনিয়া গাঁধী ও ডি রাজা।—ছবি পিটিআই

নিজেরা তো বটেই, ইউপিএ-র বাইরে অন্য কোনও দলও যাতে সনিয়া গাঁধীর আমন্ত্রণে বৈঠকে না যায়, তা সুনিশ্চিত করতে চাইছে তৃণমূল। এবং প্রাথমিক বাবে তাদের সেই কৌশল অনেকটাই সফল।

Advertisement

আজ সন্ধ্যায় সংসদ ভবনে কংগ্রেস দফতরে বিরোধীদের নিয়ে বৈঠকে বসতে চেয়েছিলেন সনিয়া। সে জন্য সংসদের দুই কক্ষের তৃণমূলের দুই নেতা সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় এবং ডেরেক ও-ব্রায়েনকে বার্তা পাঠান। দলের শীর্ষ নেতৃত্বের সঙ্গে কথা সেরে ওই দুই নেতা সনিয়ার বৈঠকে না যাওয়ারই সিদ্ধান্ত নেন। শুধু তাই নয়, এসপি-বিএসপি-র মতো ইউপিএ-র বাইরের দলগুলোও যাতে ওই বৈঠকে না যায়, তাও সুনিশ্চিত করতে চাইলেন তাঁরা। এসপি-র রামগোপাল যাদব প্রথমে জানিয়েছিলেন, অখিলেশ যাদব এই বৈঠকে যাবেন। অখিলেশ সংসদেও ছিলেন। কিন্তু এসপি-বিএসপির কেউ শেষ অবধি বৈঠকে গেলেন না।

কংগ্রেস সূত্র জানিয়েছে, আগামিকাল সব দলের সভাপতিকে প্রধানমন্ত্রী আমন্ত্রণ জানিয়েছেন। তার আগে স্পিকার নির্বাচন। ডেপুটি স্পিকার পদটি নিয়ে সরকারের উপর চাপ বাড়াতে চাইছেন বিরোধীদের অনেকে। যাতে সব বিরোধী মিলে কোনও নেতাকে তুলে ধরে সরকারের বিরুদ্ধে লড়াই করা যায়। কিন্তু তৃণমূল, এসপি-বিএসপি না আসায় আপাতত সেই প্রস্তাব নিয়ে আলোচনা শিকেয় তুলে রাখল কংগ্রেস। সনিয়ার বৈঠকে যোগ দিতে রাহুল গাঁধী তো ছিলেনই। কানিমোঝি, ডি রাজার মতো অন্য বিরোধী দলের নেতাও উপস্থিত হন। পর সনিয়া জানান, কাল ফের বৈঠক হতে পারে। কে প্রধানমন্ত্রীর বৈঠকে যাবেন, সে ব্যাপারে আগামিকালই জানা যাবে।

Advertisement

কংগ্রেসের একাংশের ধারণা, এমন হতেই পারে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কট্টর বিরোধী অধীর চৌধুরীকে লোকসভায় দলের নেতা করায় তৃণমূল অসন্তুষ্ট। আজ অবশ্য লোকসভায় সাংসদদের শপথ চলাকালীন তৃণমূলের সঙ্গে ‘মিলেমিশে’ কাজ করার পরামর্শই অধীরকে দেন সনিয়া। কিন্তু তৃণমূল আপাতত কংগ্রেসকে এড়িয়েই চলতে চাইছে। সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে কিছুটা রহস্য জিইয়ে রেখে তৃণমূলের এক নেতা বলেছিলেন, ‘‘আমার ফোনের নেটওয়ার্ক খারাপ। ফলে কোনও বৈঠক হবে কি না, জানতে পারছি না।’’

সূত্রের খবর, তৃণমূল আপাতত স্থির করেছে, ইউপিএ-র পরিসরে এখনই যোগ দেওয়া অর্থহীন। সামনে কোনও ভোট নেই। এখন দরকার নিজস্ব ব্র্যান্ডে শান দেওয়া। সংসদে কী বিল আসতে চলেছে, শাসক দলের মনোভাব কী, সে সব বুঝেই লড়তে হবে। সেটি কংগ্রেসের মঞ্চে দাঁড়িয়ে নয়।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement