মুখে স্বীকার করা হচ্ছে না ঠিকই। কিন্তু উত্তরপ্রদেশে রীতিমতো দামামা বাজিয়ে প্রিয়ঙ্কা গাঁধীর রাজনৈতিক অভিষেকের পরে নড়েচড়ে বসছে এসপি ও বিএসপি।
তারাও ঢাকঢোল পিটিয়ে, দীর্ঘদিনের বৈরিতা কাটিয়ে মহাজোট করেছিল উত্তরপ্রদেশের মাটি থেকে বিজেপিকে উৎখাত করার লক্ষ্য নিয়ে। কংগ্রেসকে শুধু অমেঠী ও রায়বরেলী আসন দু’টি ছেড়ে অখিলেশ ও মায়াবতী আশা করেছিলেন, যে হেতু এই রাজ্যে কংগ্রেসের সাংগঠনিক জোর এবং ভোট ভিত্তি দুর্বল, তাই কংগ্রেস পৃথক ভাবে লড়ায় বিশেষ সমস্যা হবে না। কংগ্রেস মূলত উচ্চবর্ণের ভোটই পাবে। অর্থাৎ ক্ষতি যা হবার তা হবে বিজেপিরই। কিন্তু এখন প্রিয়ঙ্কা উন্মাদনায় হিসেব কিছুটা গোলমাল হয়ে যেতে পারে বলে মনে করছেন অখিলেশরা। উত্তরপ্রদেশে কংগ্রেস যে বাড়তি অক্সিজেন পেতে শুরু করেছে ,আজকেই তা স্পষ্ট।
আরও পড়ুন: পাঁচ ঘণ্টার রোড শোয়ে রাহুল-প্রিয়ঙ্কাকে ঘিরে আবেগে ভাসল নবাবনগরী
রাহুল গাঁধী আজ তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে বলেছেন, ‘‘আমরা মায়াবতীজি ও অখিলেশজিকে সম্মান করি। তবে কংগ্রেস পুরোদমে উত্তরপ্রদেশে লড়বে। আমরা কংগ্রেসের আদর্শ অনুযায়ী লড়ব, যাতে এই রাজ্যে পরিবর্তন আসে।’’ মায়াবতী ও অখিলেশও পরিস্থিতির উপর নজর রাখছেন। ব্যাক চ্যানেলের মাধ্যমে কংগ্রেসকে এই বার্তা দেওয়ার কথাও ভাবা হচ্ছে যে বেশ কিছু আসনে সমঝোতা করা হোক। বিরোধী ভোটের ভাগাভাগি রোখাটাই ক্রমশ বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে উঠতে পারে বলেই মনে করা হচ্ছে। এসপি-র এক শীর্ষ নেতা বলেন, ‘‘মায়াবতীর সঙ্গে কংগ্রেস কী ভাবে সমঝোতা করতে চায় তার উপরে অনেক কিছু নির্ভর করছে। বিএসপি নেত্রী রাজি থাকলে অখিলেশের সমস্যা নেই রাহুলের সঙ্গে সমঝোতা করে এগোতে। কারণ রাহুলের সঙ্গে অখিলেশের সম্পর্ক এবং সমঝোতা খুবই ভাল।’’
কংগ্রেসে বিরূপ মনোভাবাপন্ন
মায়াবতী এত দিন রাফাল নিয়ে মুখ না খুললেও আজ খোদ রাহুলের তৈরি করা শব্দ ধার করে টুইট করে বলেছেন, ‘রাফাল চুক্তিতে দুর্নীতি-রোধী শর্ত তুলে দিয়েছে সরকার। সততা নয়, চৌকিদার খুবই গুরুত্বপূর্ণ বিজেপি ও আরএসএস-এর কাছে। দেশবাসী স্থির করবে এই চৌকিদার ও তার তথাকথিত
সততাকে নিয়ে কী করা যায়।’
রাহুল গাঁধীর তৈরি করা ‘চৌকিদার চোর হ্যায়’ স্লোগানটি গোটা দেশে যখন জনপ্রিয় হয়ে উঠছে, তখন তাকে টুইটে ব্যবহার করে বহেনজি কংগ্রেসের প্রতি নরম বার্তা দিলেন কি না— সেই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।