চাপের মুখে যোগাযোগের সরকারি ভাষা হিসেবে ইংরেজি ও হিন্দি বাধ্যতামূলক করার নির্দেশিকা বাতিল করতে বাধ্য হল দক্ষিণ রেলওয়ে শাখা।
দফতর ও রেল চলাচল সংক্রান্ত কথাবার্তা ও তথ্যের আদানপ্রদানের ভাষা হিসেবে হিন্দি ও ইংরেজি আবশ্যিক করতে একটি নির্দেশিকা জারি করেছিল দক্ষিণ রেল। যেখানে বলা হয়, দক্ষিণ রেলওয়ের চেন্নাই শাখার ডিভিশনাল কন্ট্রোল অফিসার ও স্টেশন মাস্টারদের মধ্যে কথাবার্তা বলতে হবে হিন্দি ও ইংরেজিতে। বিশৃঙ্খলা ও ভুল বোঝাবুঝি এড়াতে ব্যবহার করা যাবে না আঞ্চলিক কোনও ভাষা। সূত্রের খবর, মাদুরাই জেলায় দুই স্টেশন মাস্টারের মধ্যে ভাষার অমিল থাকায় ভুল বোঝাবুঝির জন্য কিছু দিন আগে এক লাইনে দু’টি ট্রেন এসে যায়। এর পরে সাসপেন্ড করা হয় তিন জন আধিকারিককে। জারি হয় এই নির্দেশিকা।
রেলের এই নির্দেশিকায় তীব্র ক্ষোভ দেখিয়েছেন বিরোধীরা। ডিএমকের অভিযোগ, দক্ষিণের রাজ্যগুলিতে ফের জোর করে হিন্দি ঢোকানোর চেষ্টা করা হচ্ছে। রেলকে উদ্দেশ্য করে ডিএমকে নেতা স্ট্যালিন ফেসবুকে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন, ‘‘এ ভাবে বারবার তামিলদের ভাবাবেগ নিয়ে খেলা হচ্ছে। আপনারা এই সংকীর্ণ নির্দেশ তুলে না নিলে আমরা কিন্তু আপনাদের থামিয়ে দেব।’’ ডিএমকে প্রধানের নির্দেশে দলের আর নেতা দয়ানিধি মারান দক্ষিণ রেলের জেনারেল ম্যানেজার রাহুলের জৈনের কাছে স্মারকলিপি পাঠান। পরে সাংবাদিকদের তিনি বলেন, তামিলনাড়ুতে হিন্দি ঢোকানোর চেষ্টা রুখতে সব রকম ‘আত্মত্যাগ’ করতে প্রস্তুত তাঁরা। রেল যদিও জানিয়েছে, এই নির্দেশিকা সম্পূর্ণ ‘অভ্যম্তরীণ’ কাজকর্মে সুবিধার জন্য। বিরোধীদের দাবি, তামিল জানেন না এমন রেল কর্মীদের তামিল ভাষা শেখাতে হবে। তবেই সমস্যার সমাধান হবে।
এই মাসের গোড়াতে প্রস্তাবিত শিক্ষানীতির খসড়ায় দক্ষিণ ভারতের রাজ্যগুলিতে স্কুলে হিন্দি আবশ্যিক করার কথা বলে কেন্দ্র। যা নিয়েও প্রবল বিক্ষোভ দেখা যায় তামিলনাড়ু, কর্নাটক, তেলঙ্গানার মতো রাজ্যে।