বন্ড-বিভ্রাট: ষড়যন্ত্র, নাকি শত্রুর কারসাজি

বাক্যবাণ ছুড়ে জিততে চেয়েছিলেন দুঁদে আইনজীবী। গলদ ধরে ফেললেন প্রাক্তন কলেজ শিক্ষক। একেবারে ‘০০৭’-এর কায়দাতেই অরুণ জেটলিকে লোকসভায় মাত করলেন সৌগত রায়।

Advertisement

নিজস্ব প্রতিবেদন

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ০৩ জানুয়ারি ২০১৯ ০৪:৫৭
Share:

বাক্যবাণ ছুড়ে জিততে চেয়েছিলেন দুঁদে আইনজীবী। গলদ ধরে ফেললেন প্রাক্তন কলেজ শিক্ষক। একেবারে ‘০০৭’-এর কায়দাতেই অরুণ জেটলিকে লোকসভায় মাত করলেন সৌগত রায়।

Advertisement

সংসদে আজ রাফাল নিয়ে বিতর্ক চলাকালীন গাঁধী পরিবারের বিরুদ্ধে বফর্স, অগুস্তা এবং ন্যাশনাল হেরাল্ড সংক্রান্ত দুর্নীতির অভিযোগের সূত্র টানেন জেটলি। বলেন, ‘‘রাহুল গাঁধী নিশ্চয়ই ছোটবেলায় জেমস বন্ড পড়েছেন। বন্ড বলেছিলেন, ‘কোনও ঘটনা এক বার ঘটলে সেটা অকস্মাৎ, যদি দু’বার ঘটে তা হলে সমাপতন, আর যদি তিন বার হয় তা হলে সেটা ষড়যন্ত্র।’ এখন তো প্রতিরক্ষা চুক্তির বহু ষড়যন্ত্রে যাঁরা জড়িত, তাঁরাই অন্যদের বিরুদ্ধে অভিযোগ তোলার স্পর্ধা দেখাচ্ছেন।’’

অনেকেই ভেবেছিলেন, মোক্ষম চাল দিয়েছেন জেটলি। কিন্তু সৌগতবাবু তখনই জানিয়ে দেন, ১৯৬৪ সালের বন্ড-ছবি ‘গোল্ডফিঙ্গার’-এর বিখ্যাত সংলাপটা ভুল উদ্ধৃত করেছেন অর্থমন্ত্রী। তৃণমূল সাংসদ বলেন, ‘‘মিস্টার জেটলি, স্মৃতি আপনার সঙ্গে প্রতারণা করছে। ‘তৃতীয় বার ঘটলে শত্রুর কাজ।’ ‘ষড়যন্ত্র’ নয়।’’ শুধু তা-ই নয়, ইয়ান ফ্লেমিং তাঁর সৃষ্ট ব্রিটিশ গুপ্তচরের মুখে আদৌ এমন কোনও সংলাপ বসাননি! সৌগতবাবু মনে করিয়ে দেন, শন কোনরি অভিনীত ওই ছবিতে সংলাপটি ছিল ‘ভিলেন’ গোল্ডফিঙ্গারের মুখে। আজ তাই টুইটারে জেটলিকে খোঁচা দেন তৃণমূল সাংসদদের কেউ কেউ।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement