ইউপিএ-র রাশও ছাড়বেন সনিয়া

গুলাম নবি আজাদ যেমন বলছেন, ‘‘এটা শুধু ব্রিটিশ প্রথা নয়। কংগ্রেস দলের সাংবিধানিক রীতি অনুসারেও দলের সভাপতিই সংসদীয় দলের প্রধান হন। অতীতে ইন্দিরা থেকে সনিয়া সকলে তা-ই হয়েছেন।’’

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ২১ ডিসেম্বর ২০১৭ ০৪:৫৪
Share:

সনিয়া গাঁধী।

শুধু কংগ্রেস সভাপতি নয়, ইউপিএ-র চেয়ারপার্সন হওয়ার জন্যও তৈরি হও। ছেলেকে ডেকে বলে দিলেন মা।

Advertisement

‘অবসরে’র কথা বলেছিলেন নিজেই। এ বার একে একে সব ক’টি দায়িত্বই রাহুল গাঁধীর কাঁধে ছেড়ে দিতে চলেছেন সনিয়া গাঁধী। রাহুলকে জানিয়েছেন, ইউপিএ চেয়ারপার্সন এবং কংগ্রেস সংসদীয় দলের প্রধানও হতে হবে তাঁকেই। ফলে ২০১৯-এর ভোটের আগে রাহুলই হবেন দলের ‘ছায়া প্রধানমন্ত্রী।’

কংগ্রেসের তরফে বলা হচ্ছে, এতে আশ্চর্যের কিছু নেই। গুলাম নবি আজাদ যেমন বলছেন, ‘‘এটা শুধু ব্রিটিশ প্রথা নয়। কংগ্রেস দলের সাংবিধানিক রীতি অনুসারেও দলের সভাপতিই সংসদীয় দলের প্রধান হন। অতীতে ইন্দিরা থেকে সনিয়া সকলে তা-ই হয়েছেন।’’

Advertisement

শরিকি রাজনীতিতে কী হবে? এত দিন ইউপিএ-র চেয়ারপার্সন হিসাবে সনিয়াই শরিক নেতাদের সঙ্গে সম্পর্ক রেখে চলতেন। শরিক নেতারা এবং কংগ্রেসের শীর্ষ নেতারা এখনও চাইছেন সনিয়া ইউপিএ চেয়ারপার্সন থাকুন। কিন্তু সনিয়া আজ দলের ঘনিষ্ঠ মহলে পরিষ্কার জানিয়ে দিয়েছেন, অবসর মানে অবসর।

আরও পড়ুন: কাঁদলেন মোদী, তিন বার

মা উল্টে ছেলেকে বলছেন এখন থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, স্ট্যালিন এমনকী নবীন পট্টনায়েকের সঙ্গেও সম্পর্ক রেখে চলতে। মমতা আগে প্রস্তাব দিয়েছিলেন আঞ্চলিক দলগুলি নিয়ে কনক্লেভ হোক। সে আজও হয়নি। মমতা আরও চান, কেজরীবালের সঙ্গে কংগ্রেসের একটা বোঝাপড়া হোক। বিজেপি বনাম বিরোধী ১:১ আসন সমঝোতা হোক। গুলাম নবি এ দিন বলেন, ‘‘মমতার প্রস্তাব মেনে সংসদের শীতকালীন অধিবেশনের পর আঞ্চলিক দলের সম্মেলনও হবে। মমতা কলকাতায় সম্মেলন ডাকলে আমরা যাব।’’ এনডিএ-র বিক্ষুব্ধ শরিকদের সঙ্গেও যোগাযোগ রাখা হচ্ছে। চন্দ্রবাবু নায়ডু ও জগন্মোহন রেড্ডির বিবাদে নজর রাখছেন রাহুল। চন্দ্রবাবুর সঙ্গে মমতারও সুসম্পর্ক। ফলে মমতার সাহায্যও নিতে পারে কংগ্রেস।

পাশাপাশি ওডিশা, অন্ধ্র, তামিলনাড়ু এবং বাংলায় দলকে সম্পূর্ণ বন্ধক রাখার পক্ষেও নন রাহুল। অধীর চৌধুরীকে তাই প্রদেশ নেতৃত্ব থেকে বদলানো হয়নি। রাহুল পরামর্শ দিয়েছেন, সিপিএমের সঙ্গে জোট বাঁধার দরকার নেই। রাজ্যস্তরে তৃণমূল-বিরোধী আন্দোলনও চলবে। দিল্লিতে মমতা যেমন ‘একলা চলো রে’ নীতি নিচ্ছেন, রাজ্যে রাহুল সেই পথে হাঁটতে বলছেন অধীরকে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement