রেবন্ত রেড্ডির সঙ্গে রাহুল এবং প্রিয়ঙ্কা। ছবি পিটিআই।
বৃহস্পতিবার তেলঙ্গানার দ্বিতীয় মুখ্যমন্ত্রী পদে শপথ নিতে চলেছেন কংগ্রেস নেতা আনুমুলা রেবন্ত রেড্ডি। এআইসিসির একটি সূত্র জানাচ্ছে, রাজধানী হায়দরাবাদে আয়োজিত ওই শপথ অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন সনিয়া, রাহুল এবং প্রিয়ঙ্কা গান্ধী। তৃণমূল-সহ বিজেপি বিরোধী জোট ‘ইন্ডিয়া’র বিভিন্ন শরিক দলকেও ওই শপথে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে বলে কংগ্রেসের একটি সূত্রের দাবি।
১১৯ আসনের তেলঙ্গানা বিধানসভায় এ বার ৬৪টিতে জিতেছে কংগ্রেস। সহযোগী সিপিআইয়ের ঝুলিতে গিয়েছে একটি। বিদায়ী মুখ্যমন্ত্রী কে চন্দ্রশেখর রাও (কেসিআর)-এর দল ভারত রাষ্ট্র সমিতি (বিআরএস) ৩৯টি কেন্দ্রে জিতেছে। বিজেপি ৮টি এবং হায়দরাবাদের সাংসদ আসাদউদ্দিন ওয়েইসির দল ‘অল ইন্ডিয়া মজলিস-ই-ইত্তেহাদুল মুসলিমিন’ (মিম) সাতটি আসনে জিতেছে।
সোমবার হায়দরাবাদের একটি হোটেলে নবনির্বাচিত কংগ্রেস বিধায়কদের বৈঠকে পরিষদীয় দলের নেতা নির্বাচনের দায়িত্ব কংগ্রেস সভাপতি খড়্গেকে দেওয়ার বিষয়ে সর্বসম্মত সিদ্ধান্ত হয়েছিল। মঙ্গলবার দিল্লিতে কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খড়্গে এবং এআইসিসি সাধারণ সম্পাদক কেসি বেণুগোপালের সঙ্গে বৈঠকের পর রাহুল জানান, তেলঙ্গানা প্রদেশ কংগ্রেসের সভাপতি রেবন্তই সে রাজ্যের পরবর্তী মুখ্যমন্ত্রী হচ্ছেন।
মুখ্যমন্ত্রিত্বের দৌড়ে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি রেবন্ত এগিয়ে রয়েছে বলে গোড়া থেকেই কংগ্রেসের অন্দরে জল্পনা ছিল। নবনির্বাচিত বিধায়কদের মধ্যেও তাঁরই পাল্লা ভারী ছিল। এ বারের বিধানসভা ভোটে কোডনগল আসনে জিতেছেন মালকাজগিরির সাংসদ রেবন্ত। তবে কামারেড্ডি কেন্দ্রে তৃতীয় স্থান পেয়েছেন তিনি। সেখানে জয়ী হয়েছেন বিজেপি প্রার্থী। দ্বিতীয় বিদায়ী মুখ্যমন্ত্রী কেসিআর।
রেবন্ত ছাড়াও মুখ্যমন্ত্রিত্বের দৌড়ে প্রাক্তন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি উত্তমকুমার রেড্ডি এবং বিদায়ী বিধানসভার বিরোধী দলনেতা তথা প্রভাবশালী দলিত নেতা ভাট্টি বিক্রমাঙ্ক মাল্লুর নাম নিয়ে জল্পনা ছিল। নলগোন্ডার সাংসদ উত্তম এ বারের বিধানসভা ভোটে তাঁর পুরনো আসন হুজুরনগর থেকে জিতেছেন। বিক্রমাঙ্ক জিতেছেন মাধিরা কেন্দ্রে। পরবর্তী মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে জল্পনায় ছিল প্রাক্তন বিজেপি নেতা তথা মুন্নুগোড়ে কেন্দ্রের সদ্য নির্বাচিত বিধায়ক কে রাজাগোপাল রেড্ডির নামও। জল্পনা রয়েছে, এঁদের মধ্যে কাউকে উপমুখ্যমন্ত্রী করা হতে পারে।
ছাত্রজীবনে ওসমানিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘের ছাত্রশাখা অখিল ভারতীয় বিদ্যার্থী পরিষদ করতেন রেবন্ত। সেই সময় থেকেই কোদানগলে তাঁর রাজনৈতিক তৎপরতা এবং জনপ্রিয়তা অর্জন। অবিভক্ত অন্ধ্রপ্রদেশে ২০০৭ সালে বিধান পরিষদে উপনির্বাচন এসে পড়ে। নির্দল হয়ে ভোটে দাঁড়ান রেবন্ত। জিতেও যান। তার পরে যোগ দেন চন্দ্রবাবু নায়ডুর তেলুগু দেশম পার্টিতে। ২০০৯ সালে আবার বিধানসভা ভোটে জেতেন টিডিপির হয়ে। ২০১৪ সালে পৃথক তেলঙ্গানা রাজ্য হওয়ার পরেও তিনি টিডিপির বিধায়ক ছিলেন। ২০১৭ সালে রেবন্ত যোগ দেন কংগ্রেসে।