ছবি: টুইটারের সৌজন্যে।
জনমতকে অগ্রাহ্য করছে নরেন্দ্র মোদী সরকার। শক্তিপ্রয়োগ করে বিরুদ্ধমতকে দমন করছে কেন্দ্রীয় সরকার। সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন (সিএএ)-এর বিরুদ্ধে দেশজোড়া বিক্ষোভ প্রশমিত করতে সরকারের ভূমিকা নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করে কেন্দ্রকে তীব্র আক্রমণ করলেন কংগ্রেস সভানেত্রী সনিয়া গাঁধী। তাঁর মতে, এটি গণতন্ত্রে একেবারেই অনবিপ্রেত।
শুক্রবার একটি ভিডিয়ো বার্তায় নরেন্দ্র মোদী সরকারের বিরুদ্ধে আক্রমণ শানানোর পাশাপাশি নয়া নাগরিকত্ব আইনকে বৈষম্যমূলক বলেও মন্তব্য করেন সনিয়া। সেই সঙ্গে এই আইনের বিরুদ্ধে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে পড়ুয়াদের বিক্ষোভের প্রতি সমমর্তিতা ব্যক্ত করেছেন কংগ্রেসের অন্তর্বর্তীকালীন সভানেত্রী সনিয়া। যে ভাবে ওই আন্দোলন-প্রতিবাদকে দমন করার চেষ্টা করছে মোদী সরকার, তা নিয়েও অসন্তুষ্ট তিনি।
এ দিন ‘নাগরিকবৃন্দ’ বলে নিজের বক্তব্য শুরু করেন সনিয়া। তাঁর মন্তব্য, “বিরুদ্ধমতকে দমন করতে পাশবিক শক্তি প্রয়োগ করাকেই বেছে নিয়েছে বিজেপি সরকার। গণতন্ত্রে যা অনভিপ্রেত।” তাঁর মতে, “গণতন্ত্রে সরকারের ভুল সিদ্ধান্ত এবং নীতির বিরুদ্ধে সরব হওয়ার অধিকার রয়েছে সাধারণ মানুষের। তা নিয়ে চিন্তা জাহির হওয়ারও অধিকার রয়েছে নাগরিকের। পাশাপাশি, নাগরিকের মতের গুরুত্ব দেওয়া এবং তাঁদের চিন্তা মেটানোও সরকারের দায়িত্ব।”
আরও পড়ুন: নাগরিকত্ব প্রমাণে শুধু জন্মস্থান বা তারিখের নথি চাই, জানাল কেন্দ্র
আরও পড়ুন: নাগরিকত্ব প্রমাণে কোনও জটিল নথি দিতে হবে না, সবটাই সরল, বলল কেন্দ্র
সংসদে নয়া নাগরিকত্ব আইন পাশ হওয়ার পর থেকেই দেশ জুড়ে তা নিয়ে বিক্ষোভের মুখে পড়েছে নরেন্দ্র মোদী সরকার। জামিয়া মিলিয়া ইসলামিয়া, আলিগড় বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের তা পড়ুয়াদের বিক্ষোভ দমনে প্রশ্নের মুখে পড়েছে পুলিশ-প্রশাসন। সনিয়ার মতে, “সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন বৈষম্যমূলক এবং দেশজোড়া প্রস্তাবিত জাতীয় নাগরিকপঞ্জি (এনআরসি)-র ফলে গরিব এবং দূর্বল শ্রেণির মানুষদেরই ক্ষতি হবে।” সিএএ এবং এনআরসি— দু’টি ইস্যুতেই কংগ্রেস বিক্ষুব্ধদের পাশে রয়েছে বলেও জানিয়েছেন সনিয়া।