ছবি পিটিআই।
সরকারটা আর শুধু নরেন্দ্র মোদীর নয়। সনিয়া গাঁধী মনে করেন, কেন্দ্রের সরকার এখন চালাচ্ছে নরেন্দ্র মোদী-অমিত শাহের জুটি। সকালে সেন্ট্রাল হলে কংগ্রেসের সংসদীয় দলের বৈঠকে তাই কম করে আধ-ডজন বার ‘মোদী-শাহ’ নাম একসঙ্গে নিয়ে জোরদার আক্রমণ শানালেন তিনি।
কংগ্রেস সভানেত্রীর মতে, ‘‘মহারাষ্ট্রে তিন দলের সরকার একজোট হয়ে বিজেপির এই জঘন্য খেলা পরাস্ত করবে।’’ ১৪ ডিসেম্বর দিল্লির রামলীলা ময়দানে কংগ্রেস বড় জনসভা করছে। ‘ক্ষমতায় মত্ত’ মোদী-শাহের গণতন্ত্র হত্যা, আর্থিক দুর্দশা, চিদম্বরমকে একশো দিন আটকে রাখা— সব কিছুর প্রতিবাদে বিরোধী ঐক্যের শক্তি দেখাতে বললেন কংগ্রেস সভানেত্রী।
প্রধানমন্ত্রীর প্রতিক্রিয়া আসেনি। এসেছে ঝাড়খণ্ডে প্রচারে থাকা অমিত শাহের। বলেন, ‘‘লজ্জাজনক তো কংগ্রেস-এনসিপি একশোর মতো আসন পেয়েও মুখ্যমন্ত্রীর টোপ দিয়ে শিবসেনাকে মুখ্যমন্ত্রী করা। আমাদের কীসের লজ্জা?’’ এরপরেই শিবসেনার সঙ্গ নিয়ে কংগ্রেসকে খোঁচা দেন অমিত, ‘‘কংগ্রেসের এক সাংসদ বলেছেন, তাঁদের নাকি জয় হয়েছে। আমাদের দলের সাংসদ তাঁকে জানিয়েছেন, হার-জিত জানি না। আপনাদেরও ‘জয় শ্রী রাম’ বলে দিলাম। কংগ্রেসও এ বার বলুক, অযোধ্যায় গগনচুম্বী মন্দির হবে!’’
জম্মু-কাশ্মীরে রাহুল গাঁধীকে প্রবেশ করতে না দেওয়া থেকে দেশের আর্থিক দুর্দশা, নির্বাচনী বন্ডে প্রধানমন্ত্রীর ভূমিকা থেকে ফোনে আড়ি পাতা, একের পর এক বিষয়ে শাসক জুটিকে তুলোধনা করেছেন সনিয়া। ইউরোপীয় সাংসদদের পাঠানো হচ্ছে, অথচ রাহুল গাঁধীর নেতৃত্বে দেশের নেতারা যেতে পারছেন না। অমিত শাহ জবাব দেন, ‘‘তখন যেতে পারেননি, এখন তো যশবন্ত সিন্হা, অরুণ শৌরিরাও ঘুরে এসেছেন।’’ নির্বাচনী বন্ডেও কোনও অনিয়ম হয়নি বলে দাবি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর। তাঁর মতে, কংগ্রেস কালো টাকায় চাঁদা নিচ্ছে, তাই বন্ডে টাকা পাচ্ছে না। বিজেপি সব বন্ডে নিচ্ছে বলে পরিমাণ বেশি। আর দেশের আর্থিক পরিস্থিতি নিয়ে শাহের বক্তব্য, বিশ্বের মন্দার আঁচ ভারতেও পড়বে। কিন্তু এ দেশে প্রভাব বিশ্বের বড় দেশের তুলনায় কম পড়েছে। মোদী সরকার বিশ্বের প্রথম পাঁচটি অর্থনীতিতে পৌঁছে দেবে ভারতকে।