সংসদে মেজাজ হারালেন সনিয়া।
বিজেপির বিক্ষোভের মাঝেই পদ্মের সাংসদের সঙ্গে কথা বলতে গিয়েছিলেন সনিয়া গাঁধী। হস্তক্ষেপ করতে চলে আসেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী স্মৃতি ইরানি। আর তাতেই বেজায় চটলেন কংগ্রেস সভানেত্রী। ঝাঁঝিয়ে বলে উঠলেন, ‘‘আমার সঙ্গে একদম কথা বলবে না।’’ সেই নিয়ে শুরু নতুন বিতর্ক।
রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুকে ‘রাষ্ট্রপত্নী’ বলে উল্লেখ করেন অধীর চৌধুরী। সেই নিয়ে বৃহস্পতিবার উত্তাল লোকসভা। অধীর এবং সনিয়ার বিরুদ্ধে লোকসভায় প্ল্যাকার্ড হাতে স্লোগান দিতে থাকেন বিজেপি সাংসদরা। কেন্দ্রীয় মহিলা এবং শিশু কল্যাণ মন্ত্রী স্মৃতি ইরানি দাবি করেন, সনিয়া গাঁধীকে ক্ষমা চাইতে হবে।
সনিয়াকে উদ্দেশ করে অমেঠীর সাংসদ অভিযোগ করেন, ‘‘দ্রৌপদী মুর্মুর অপমানে আপনি সম্মতি দিয়েছেন। সংবিধানের সর্বোচ্চ পদে রয়েছেন এক জন মহিলা, তাঁর অপমানে সায় দিয়েছেন সনিয়াজি।’’
এর পরেই স্থগিত হয়ে যায় লোকসভার অধিবেশন। সে সময় বিজেপি সাংসদ রমা দেবীর সঙ্গে কথা বলতে যান সনিয়া। সূত্রের খবর, রমা দেবীকে তিনি বলেন, ‘‘অধীর চৌধুরী ইতিমধ্যেই বিষয়টি নিয়ে ক্ষমা চেয়েছেন। কেন আমায় টেনে আনা হচ্ছে?’’
দু’জনের কথোপকথনের মাঝে তখনই ঢুকে পড়েন স্মৃতি। বলেন, ‘‘ম্যাডাম, আমি একটা কথা বলি? আপনার নামটা আমি তুলেছিলাম।’’ তাতেই মেজাজ হারান সনিয়া।
সনিয়া মেজাজ হারাতেই তুমুল বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন বিজেপি সাংসদরা। পরিস্থিতি সামাল দিতে আসরে নামেন এনসিপি সাংসদ সুপ্রিয়া সুলে। সনিয়াকে সেখান থেকে সরিয়ে নিয়ে যান।
কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমন সনিয়াকে এক হাত নিয়ে বলেন, ‘‘সংসদে তিনি (সনিয়া গাঁধী) ওই কথা বলে আমাদের সাংসদকে অপমান করেছেন। আসলে কংগ্রেসের সর্বোচ্চ নেত্রীর কোনও অনুশোচনা নেই। বরং আগ্রাসন রয়েছে।’’ কংগ্রেসের জয়রাম রমেশ আবার সনিয়াকে অপমানের অভিযোগ এনেছেন স্মৃতির বিরুদ্ধে।