ছবি: পিটিআই।
রাহুল গাঁধী কোনও যুব নেতাকেই দায়িত্বে দেওয়ার পক্ষে ছিলেন। সনিয়া গাঁধী ভরসা রাখলেন প্রবীণেই। শীলা দীক্ষিতের প্রয়াণের পর তিন মাস ধরে খালি থাকা দিল্লি কংগ্রেসের সভাপতি পদে প্রবীণ সুভাষ চোপড়াকেই নিয়োগ করলেন সনিয়া। দিল্লিতে বিধানসভা নির্বাচনের আগে পূর্বাঞ্চলের ভোট টানতে প্রচার কমিটির প্রধান করা হল বিজেপি ছেড়ে কংগ্রেসে আসা কীর্তি আজাদকে।
শীলা দীক্ষিতের প্রয়াণের সময় রাহুল ছিলেন বিদেশে। কিন্তু তাঁর মৃত্যুর আগে পি সি চাকো যে ভাবে শীলার প্রতি কটাক্ষ করেছিলেন, তা ভাল চোখে নেননি রাহুল। দেশে ফিরে শীলার বাড়িতে ঘণ্টাখানেক চুপ করে বসেছিলেন। সম্প্রতি শীলার ছেলে সন্দীপ দীক্ষিতের সঙ্গেও চাকোর বিবাদ বাধে। দিল্লির একদল যুব নেতা রাহুলের সঙ্গে দেখা করে দাবি করেন, কোনও নবীন নেতার হাতেই দেওয়া হোক দিল্লির ভার। বাইরে থেকে যেন কাউকে না আনা হয়। কীর্তিকে সভাপতি করা নিয়ে জল্পনা চলছিল অনেক দিন ধরে। সেটা আটকাতেই তাঁদের এই দাবি।
কিন্তু এর মধ্যে চাকো আহমেদ পটেলের সঙ্গে দেখা করেন। তারপর সম্ভাব্য সভাপতির নাম নিয়ে সনিয়ার সঙ্গে সবিস্তার আলোচনা করেন পটেল। এই নাম আগেই ঘোষণার কথা ছিল। কিন্তু ক’দিন চুপ থেকে সনিয়া আজ সিলমোহর বসিয়ে দেন সুভাষ চোপড়ার নামে। ভোটের অঙ্ক মেনে নিয়ে আসেন কীর্তিকেও। চোপড়া অতীতেও দিল্লি কংগ্রেসে সভাপতি ছিলেন। বিধায়ক, বিধানসভার স্পিকারও ছিলেন। কংগ্রেস নেতৃত্বের মতে, বিজেপি মনোজ তিওয়ারিকে দিল্লির সভাপতি করে পূর্বাঞ্চলী তাস খেলছে। অরবিন্দ কেজরীবালও একই রাজনীতি করেন। এটা মোকাবিলা করার জন্যই কীর্তিকে নিয়ে আসা হয়েছে।
যদিও কংগ্রেস নেতারা মানছেন, দিল্লিতে ভোটের আর বেশি দিন নেই। নরেন্দ্র মোদীর মন্ত্রিসভা দিল্লি ভোটের কথা মাথায় রেখে আজ একগুচ্ছ ঘোষণা করেছে। এই অবস্থায় লড়াইয়ে নামার জন্য দ্রুত সিদ্ধান্ত নেওয়া জরুরি ছিল। কংগ্রেসের এক নেতার কথায়, ‘‘এই নিয়ে রাহুলের সঙ্গে সনিয়ার মতান্তর থাকতে পারে। কিন্তু বর্তমান পরিস্থিতি বিবেচনা করে এই সিদ্ধান্ত নিতেই হত।’’