সোনম ওয়াংচুক। — ফাইল চিত্র।
আবার অনশনে বসলেন সোনম ওয়াংচুক। রবিবার দুপুরে লাদাখ ভবনে অনির্দিষ্টকালের জন্য অনশনে বসলেন বাস্তবের ‘র্যাঞ্চো’। দিল্লির যন্তর মন্তরে ধর্নার অনুমতি না মেলায় এ বার লাদাখ ভবনের সামনেই অনশনের সিদ্ধান্ত নিলেন সোনম।
অনশন শুরুর আগে ‘লাদাখ বাঁচাও’ আন্দোলনের মুখ সোনম সংবাদমাধ্যমকে বলেন, ‘‘যন্তর মন্তরে ধর্নার অনুমতি চেয়েছিলাম, কিন্তু অনুমতি মেলেনি। কোথাও জায়গা না পেয়ে শেষে লাদাখ ভবনকেই বেছে নিলাম।’’ সে সময় তাঁর সঙ্গে ছিলেন বহু অনুগামী ও সমর্থক। স্লোগান ওঠে, ‘জয় লাদাখ’, ‘লাদাখ বাঁচাও, হিমালয় বাঁচাও’ ইত্যাদি।
প্রসঙ্গত, দিনকয়েক আগেই মিছিল করতে গিয়ে সিঙ্ঘু সীমান্তে আটক হন জলবায়ু-কর্মী সোনম। তাঁরা তাঁদের দাবিগুলি নিয়ে লাদাখের নেতৃত্বের সঙ্গে আরও একবার আলোচনার জন্য কেন্দ্রকে আহ্বান জানাতে লেহ থেকে নয়াদিল্লি পর্যন্ত শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদ মিছিলের ডাক দিয়েছিলেন। কিন্তু রাত বাড়তেই দিল্লি পুলিশের হাতে আটক হন সোনম-সহ প্রায় ১৫০ জন। তাঁদের মধ্যে বহু অশীতিপর মানুষও ছিলেন। ভারতীয় ন্যায় সংহিতার ১৬৩ ধারায় তাঁদের আটক করা হয়।
লাদাখকে রাজ্যের মর্যাদা দেওয়ার দাবিতে দীর্ঘ দিন ধরেই লড়ছেন সোনম। তাঁর বক্তব্য, লাদাখকে সংবিধানের ষষ্ঠ তফসিলের আওতাভুক্ত করে পূর্ণ রাজ্যের মর্যাদা দেওয়া হোক। লাদাখের জন্য একটি পৃথক পাবলিক সার্ভিস কমিশন গঠন করা হোক। সেই সঙ্গে লেহ এবং কার্গিল জেলার জন্য পৃথক পৃথক লোকসভা আসনের বন্দোবস্ত করা হোক। এমনই নানা দাবি নিয়ে বারবার সরব হয়েছেন বাস্তব জীবনের ‘র্যাঞ্চো’। গত মাসেও সোনম কেন্দ্রকে হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন যে, দাবি না মানা হলে ২৮ দিনের জন্য অনশনে বসবেন তিনি। এর আগেও চলতি বছরের মার্চ মাসে ২১ দিনের অনশনে বসেছিলেন ওয়াংচুক। শুধু নুন-জল ছাড়া কিছুই মুখে তোলেননি ওই ২১ দিন। দাবি ছিল একটাই, লাদাখকে পূর্ণ রাজ্যের মর্যাদা দিতে হবে।