সোনালিকে মাদক মেশানো পানীয় খেতে বাধ্য করা হয় বলে জানিয়েছে পুলিশ। ফাইল চিত্র।
সোনালি ফোগটের মৃত্যুতে ক্রমশ প্রকট হচ্ছে মাদক যোগ। রবিবার হরিয়ানার বিজেপি নেত্রীর মৃত্যুর ঘটনায় আরও এক জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ঘটনাচক্রে, এই ব্যক্তিও এক জন মাদক পাচারকারী। পুলিশ তাঁর বিরুদ্ধে খুন এবং মাদক রাখার অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবারের পর থেকে সোনালির মৃত্যুর ঘটনায় এই নিয়ে মোট পাঁচ জনকে গ্রেফতার করা হল। এর মধ্যে তিন জনই মাদক পাচারের সঙ্গে যুক্ত বলে পুলিশ সূত্রে খবর। এঁদের মধ্যে দু’জনকে শুক্রবার রাতে গ্রেফতার করে পুলিশ। যার মধ্যে এক জন গোয়ার আঞ্জুনা বিচের সৈকত-রেস্তরাঁ তথা পাব ‘কার্লিজ শ্যাক’-এর মালিক এডউইন জোসেফ নুনেজ। অন্য জনের নাম দত্তপ্রসাদ গাঁওকর। পুলিশ সূত্রে খবর, যিনি মাদক পাচারকারী। ওই গ্রেফতারির ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই শনিবার গ্রেফতার করা হয় তৃতীয় মাদক পাচারকারীকে। পুলিশ তার নাম না জানালেও সূত্রের খবর, এই তৃতীয় মাদক পাচারকারীই সোনালির সহকর্মীদের মাদক জুগিয়েছিল।
গত ২৩ অগস্ট গোয়ার একটি হাসপাতালে মৃত অবস্থায় নিয়ে যাওয়া হয় হরিয়ানার বিজেপি নেত্রী তথা অভিনেত্রী সোনালিকে। তার আগে কাজের সূত্রে দুই সহকর্মীর সঙ্গে গোয়ায় এসেছিলেন তিনি। সোনালির পরিবার ওই দুই সহকর্মীর বিরুদ্ধে সোনালিকে ধর্ষণ করে খুনের অভিযোগ এনেছে। এর পরই সোনালিকে খুনের অভিযোগে তাঁর দুই সহকর্মী সুধীর সাঙ্গোয়ান এবং সুখবিন্দর সিংকে গ্রেফতার করে পুলিশ। জেরায় সোনালির পানীয়ে মাদক মেশানোর কথা স্বীকারও করে তারা। পরে শুক্রবার এবং শনিবার তিন মাদক পাচারকারীকে গ্রেফতার করে পুলিশ। এঁদের মধ্যে এডউইন এবং দত্তপ্রসাদকে মাদক রাখা ও জোগান দেওয়ার অভিযোগে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তবে তৃতীয় মাদক পাচারকারীর বিরুদ্ধে সোনালির দুই সহকর্মীকে মাদকের জোগান দেওয়ার অভিযোগ আনা হয়েছে।
ইতিমধ্যেই তদন্তে পুলিশ জানতে পেরেছে, মৃত্যুর আগের রাতে, গত সোমবার অঞ্জুনা বিচে এডউইনের সৈকত-রেস্তরাঁয় গিয়েছিলেন সোনালি। পরে সিসিটিভি ফুটেজে দেখে এবং অভিযুক্তদের বয়ান শুনে পুলিশ জানায় সোনালিকে মাদক মেশানো পানীয় খেতে বাধ্য করা হয়েছিল সেখানে। তার পরই তিনি অসুস্থ বোধ করতে শুরু করেন। এমনকি, তাঁর স্বাভাবিক ভাবে হাঁটতেও অসুবিধা হচ্ছিল বলে পুলিশ সূত্রে খবর। প্রত্যক্ষদর্শীদের থেকে পুলিশ জেনেছে সোনালি এতটাই অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন যে, তাঁকে তাঁর হোটেলে যাওয়ার জন্য সাহায্য নিতে হয়। পরের দিনই মৃত অবস্থায় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় সোনালিকে।
এ দিকে, সোনালির মৃত্যুর ঘটনায় ইতিমধ্যেই হরিয়ানা সরকার গোয়া প্রশাসনকে চিঠি লেখার কথা জানিয়েছে। তারা বলেছে, সোনালির মৃত্যুরহস্যের তদন্ত কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআইয়ের হাতে দেওয়ার জন্য গোয়াকে অনুরোধ করবে তারা।