মোদীর সোনা জমা প্রকল্পে লগ্নি করবে সোমনাথ মন্দির

প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সোনা জমা প্রকল্পের শরিক হতে চলেছে এ বার তাঁরই রাজ্য গুজরাতের সোমনাথ মন্দির। যে মন্দিরের ট্রাস্টে রয়েছেন মোদী নিজে। সম্প্রতি সব ট্রাস্টির সম্মতি মেলার পরে মন্দিরের ভাণ্ডারে অলস ভাবে পড়ে থাকা সোনা কেন্দ্রীয় সরকারের গোল্ড মানিটাইজেশন স্কিমে জমা করা হবে বলে জানিয়েছে ট্রাস্ট। তবে তার পরিমাণ ঠিক কতটা হতে পারে, তা নিশ্চিত ভাবে কিছু বলা হয়নি। ট্রাস্টের তরফে দাবি, যে-পরিমাণ সোনা প্রতিদিন ব্যবহৃত হয়, তা বাদ দিয়ে জমা করা হবে পড়ে থাকা বাকি সোনা। যদিও তার পরিমাণ খুব বেশি হবে না বলেই আকারে-ইঙ্গিতে বুঝিয়েছে ট্রাস্ট।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

শেষ আপডেট: ১৮ জানুয়ারি ২০১৬ ২২:৩৬
Share:

প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সোনা জমা প্রকল্পের শরিক হতে চলেছে এ বার তাঁরই রাজ্য গুজরাতের সোমনাথ মন্দির। যে মন্দিরের ট্রাস্টে রয়েছেন মোদী নিজে। সম্প্রতি সব ট্রাস্টির সম্মতি মেলার পরে মন্দিরের ভাণ্ডারে অলস ভাবে পড়ে থাকা সোনা কেন্দ্রীয় সরকারের গোল্ড মানিটাইজেশন স্কিমে জমা করা হবে বলে জানিয়েছে ট্রাস্ট। তবে তার পরিমাণ ঠিক কতটা হতে পারে, তা নিশ্চিত ভাবে কিছু বলা হয়নি। ট্রাস্টের তরফে দাবি, যে-পরিমাণ সোনা প্রতিদিন ব্যবহৃত হয়, তা বাদ দিয়ে জমা করা হবে পড়ে থাকা বাকি সোনা। যদিও তার পরিমাণ খুব বেশি হবে না বলেই আকারে-ইঙ্গিতে বুঝিয়েছে ট্রাস্ট।

Advertisement

সারা দেশে গৃহস্থের বাড়িতে বা বিভিন্ন মন্দিরে যাতে অলস ভাবে সোনা ফেলে না রাখা হয়, সে জন্যই খোদ প্রধানমন্ত্রীর উদ্যোগে গোল্ড মানিটাইজেশন স্কিম এনেছে কেন্দ্র। মূল উদ্দেশ্য, সরকার যাতে দেশের মধ্যে থাকা সোনা বাজারে খাটিয়ে তার আমদানি খাতে বাড়তি খরচ কমাতে পারে। আবার একই সঙ্গে জমাকারীরও কিছুটা আয়ের বন্দোবস্ত হয়, যা সোনা এমনি বাড়িতে বা সিন্দুকে পড়ে থাকলে মোটেই সম্ভব নয়।

এ ক্ষেত্রে সোমনাথ মন্দিরই গুজরাতের প্রথম মন্দির, যারা এই প্রকল্পে সারা দিল। ট্রাস্ট-এর সচিব ও মন্দিরের অন্যতম ট্রাস্টি পি কে লাহিড়ির অবশ্য দাবি, ‘‘আমাদের ভাণ্ডারে জমা সোনার পরিমাণ বেশি নয়, মাত্র ৩৫ কেজি। এর মধ্যে কিছুটা ২৪ ক্যারাটের খাঁটি বা পাকা সোনা ও বাকিটা গয়না। পাকা সোনা ছাড়া বেশির ভাগটাই প্রতিদিন মন্দির সাজাতে লাগে। কাজেই ৩৫ কেজি থেকে প্রথমে পাকা সোনা আলাদা করতে হবে। শেষ পর্যন্ত কতটা প্রকল্পে জমা দেওয়া হবে, তা চূড়ান্ত করবেন কর্তৃপক্ষ।’’

Advertisement

প্রসঙ্গত, অনেকেই মনে করছেন মোদী নিজে সোমনাথ মন্দিরের ট্রাস্টি হওয়ার কারণেই এটা সম্ভব হয়েছে। ট্রাস্টে রয়েছেন গুজরাতের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী কেশুভাই পটেল, বিজেপি নেতা এল কে আডবাণী, শিল্পোদ্যোগী হর্ষবর্ধন নেওটিয়াও। সব ট্রাস্টি মিলে সম্প্রতি এ বিষয় সিদ্ধান্ত নেন গত সপ্তাহে মোদীরই বাড়িতেই আয়োজিত এক বৈঠকে, জানিয়েছেন লাহিড়ি।

তবে সোমনাথ মন্দির সোনা জমা প্রকল্পে অংশ নিতে রাজি হলেও গুজরাতের জনপ্রিয় অন্য দুই মন্দির, দ্বারকাধীশ ও অম্বাজি আপাতত এতে সামিল হচ্ছে না। অম্বাজি মন্দির কর্তৃপক্ষ গোল্ড মানিটাইজেশন স্কিমে সোনা জমার সম্ভাবনা পত্রপাঠ খারিজ করে দিয়েছেন। আর দেবভূমির দ্বারকাধীশ মন্দির কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন, তাঁরা বিষয়টি নিয়ে ভাবছেন। ট্রাস্টিরা এখনও পর্যন্ত কোনও সিদ্ধান্ত নেননি।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement