প্রতীকী ছবি।
এক সময় আত্মসমর্পণকারী জঙ্গিদের ঘাঁটি হিসেবে পরিচিত ছিল জম্মু-কাশ্মীরের বান্দিপোরার হাজিন টাউন। সেখানেই উল্টো স্রোত। হাজিনের বহু যুবক এখন যোগ দিচ্ছে জঙ্গি সংগঠনে। ইতিমধ্যেই সেখানে সেনার চর সন্দেহে ছয় যুবককে খুন করেছে জঙ্গিরা।
কেন হাজিনের যুবকরা নাম লেখাচ্ছে জঙ্গি-দলে? স্থানীয়দের দাবি, বাহিনীর অত্যাচারই যুবকদের ঠেলে দিচ্ছে জঙ্গি হওয়ার পথে।
কয়েক বছর আগে হাজিনের চার বাসিন্দা যোগ দিয়েছিল লস্কর-ই-তইবায়। ২০০৫-এ এখানে গুলিযুদ্ধে নিহত হয় আব্দুল কায়ুম প্যারে এবং প্যারে মোল্লা নামে দুই জঙ্গি। পুলিশ রেকর্ড অনুযায়ী এর পরে ২০১৭ সালের ১২ মে পর্যন্ত হাজিনের কোনও বাসিন্দা জঙ্গি দলে নাম লেখায়নি। বান্দিপোরার এসএসপি জ়ুলফিকার আজ়াদ বলেন, ‘‘সেই দিন আব্দুল হামিদ এবং নাসিরুল্লা লস্করে যোগ দেয়। দু’জনে আলাদা গুলিযুদ্ধে প্রাণ হারায়। তাতেই মাথাচাড়া দেয় সরকার-বিরোধী আন্দোলন। তখন থেকেই হাজিনের বাসিন্দাদের মধ্যে জঙ্গি দলে নাম লেখানোর প্রবণতা বেড়েছে।’’ এই মুর্হূতে হাজিনের দুই জঙ্গি মহম্মদ সালেম প্যারে এবং নিসার আহমেদ দারের কার্যকলাপে ঘুম নেই বাহিনীর।
তবে নিসারের বাবা গুলাম রসুল দারের দাবি, ‘‘হাতে বন্দুক তুলে নিতে বাধ্য হয়েছে নিসার।’’ গুলাম রসুল বলেন, ‘‘পাথর ছোড়া এবং প্রতিবাদ সভা আয়োজন করার জন্য আমার ছেলের বিরুদ্ধে ১৪টি এফআইআর দায়ের করা হয়। দু’বার নিসারের বিরুদ্ধে জননিরাপত্তা আইনে মামলা রুজু করা হয়। এই আইনে কাউকে বিনা বিচারে ছ’মাস পর্যন্ত জেলে পুরে রাখা যায়। ২০১৬ সালের বেশিটাই নিসার জেলে ছিল।’’ গুলাম রসুল জানান, ২০১৪ সাল থেকে নিসারের খোঁজে বাড়িতে তল্লাশি চালাত পুলিশ। ছেলেকে না পেলে তারা কার্পেট ছিঁড়ে ফেলত। গুলাম রসুলের কথায়, ‘‘আমার মাথাতেও পুলিশ বারবার আঘাত করত।’’