Joshimath land subsidence

প্রবল বৃষ্টির সঙ্গে তুষারপাত, ফাটলে জল ঢুকলে নতুন বিপদ! ভয়ের প্রহর গুনছে জোশীমঠ

হিমালয়ের কোলে থাকা এই শহরে শুরু হয়েছে প্রবল তুষারপাত এবং বৃষ্টি। জোশীমঠবাসীর আশঙ্কা, তুষারপাতের কারণে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় ফাটল আরও চওড়া হতে পারে। নতুন করে ভূমিধস নামতে পারে এলাকায়।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

দেহরাদূন শেষ আপডেট: ২০ জানুয়ারি ২০২৩ ১৫:৪৩
Share:

প্রবল তুষারপাতে বরফে ঢেকেছে জোশীমঠ। ছবি পিটিআই।

জোশীমঠবাসীর যেন মড়ার উপর খাঁড়ার ঘায়ের দশা। গত কয়েক দিনে নতুন করে আর ফাটল ধরেনি সেখানকার কোনও বাড়িতে। কিন্তু সম্প্রতি হিমালয়ের কোলে থাকা এই শহরে শুরু হয়েছে প্রবল তুষারপাত এবং বৃষ্টি। আর এতেই নয়া বিপদের আশঙ্কায় আতঙ্কগ্রস্ত হয়ে পড়েছেন সেখানকার বাসিন্দারা।

Advertisement

প্রশাসনের তরফে শহরের বিপদগ্রস্ত এলাকাগুলি থেকে বাসিন্দাদের সরিয়ে নিয়ে গিয়ে নিরাপদ স্থানে পুনর্বাসন দেওয়া হলেও, এখনও সেখানকার প্রায় ৬০০টি বাড়িতে বাসিন্দারা রয়ে গিয়েছেন। এই সব বাড়িগুলিতে অল্প ফাটল ধরায় তাদের কেউ অন্যত্র যেতে চাননি। কিন্তু জোশীমঠবাসীর আশঙ্কা, তুষারপাত ও বৃষ্টির কারণে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় ফাটল আরও চওড়া হতে পারে। নতুন করে ভূমিধসও নামতে পারে এলাকায়।

Advertisement

‘জোশীমঠ সংঘর্ষ বাঁচাও কমিটি’র আহ্বায়ক অতুল সতি এ প্রসঙ্গে সংবাদ মাধ্যমকে জানিয়েছেন, প্রশাসনের তরফে এখনও ৬০০টি বাড়িকে বিপদগ্রস্ত বলে উল্লেখ করা হয়নি। তাঁর আশঙ্কা, ওই বাড়িগুলির বাসিন্দারা নতুন করে বিপদের মুখে পড়তে পারেন। এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করার জন্য বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর প্রধান রঞ্জিত কুমার সিন্‌হাকে অনুরোধ জানিয়েছেন তিনি। আর্জির সুরে তিনি বলেছেন, “মিস্টার সিন্‌হা, দয়া করে বিজ্ঞানসম্মত উপায়ে বিপদের মোকাবিলা করুন। কোনও সংস্থার কথায় চলবেন না।” সংস্থা বলতে অতুল এনটিপিসেই বোঝাতে চেয়েছেন বলে মনে করছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। আগেও তিনি জোশীমঠের বিপর্যয়ের জন্য এনটিপিসির জলবিদ্যুৎ প্রকল্পকে দুষেছিলেন।

অতুল তাঁর আশঙ্কার কারণ ব্যাখ্যা করে বলেন, “তুষারপাত এবং বৃষ্টির কারণে ভূগর্ভস্থ জলের প্রবাহপথগুলি আবার জেগে উঠছে। এর ফলে ভূমিধসের সম্ভাবনা আরও বাড়তে পারে।” ইতিমধ্যেই কিছু জায়গায় ফাটল ক্রমশ চওড়া হচ্ছে বলেও দাবি করেছেন অতুল। তাঁর আরও দাবি, বিপদগ্রস্ত বাড়িগুলি থেকে বাসিন্দাদের সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার অনুরোধ জানানো হলেও, প্রশাসন এখনও কোনও পদক্ষেপ করেনি। এ দিকে প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে দু’টি ক্ষতিগ্রস্ত হোটেল ভাঙার কাজ স্থগিত রাখা হয়েছে। রাজ্য প্রশাসন জানিয়েছে, তারা সমস্ত সতর্কতামূলক পদক্ষেপ নিয়ে রাখছে। আরও কয়েক দিন ওই অঞ্চলে তুষারপাত চলার পূর্বাভাস দিয়েছে হাওয়া অফিস।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement