গ্রাফিক: শৌভিক দেবনাথ।
কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের পুত্র জয় শাহের ব্যবসা সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে তদন্ত করেছিলেন যে সাংবাদিক, ইজরায়েলের এনএসও সংস্থার তৈরি পেগাসাস স্পাইওয়্যার কাজে লাগিয়ে আড়ি পাতা হয়েছে তাঁর ফোনেও। সংবাদমাধ্যম ‘দ্য ওয়্যার’-এর রিপোর্টে প্রকাশ্যে এল এই তথ্য। ঘটনাচক্রে, রোহিনী সিংহ নামে ওই সাংবাদিক ‘দ্য ওয়্যার’-এরই কর্মী। রোহিনী ছাড়াও ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের সুশান্ত সিংহ নামে এক সাংবাদিকের ফোনেও পেগাসাসের অস্তিত্ব মিলেছে বলে খবর।
পেগাসাস-কাণ্ডে বিশ্বের ১৬টি সংবাদমাধ্যমের হাতে ফাঁস হওয়া ফোন নম্বরের তথ্যভাণ্ডার তুলে দিয়েছে ফ্রান্সের সংস্থা ‘ফরবিডেন স্টোরিজ’ ও অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল। ভারতে ওই তথ্য পেয়েছে ‘দ্য ওয়্যার’। তাদের রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে, পেগাসাস স্পাইওয়্যার ব্যবহার করে দেশের কেন্দ্রীয় মন্ত্রী, বিরোধী দলের নেতা-নেত্রী, শিল্পপতি, ব্যবসায়ী-সহ দেশের প্রায় ৪০ জন সাংবাদিকের ফোনে আড়ি পাতা হয়েছে। যদিও সমস্ত ফোনের ফরেন্সিক পরীক্ষা এখনও হয়নি বলেই জানানো হয়েছে। ওই তালিকায় রয়েছেন ‘হিন্দুস্তান টাইমস’, ‘ইন্ডিয়া টুডে’, ‘নেটওয়ার্ক ১৮’, ‘দ্য হিন্দু’ এবং ‘ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস’-এর সাংবাদিকরা।
জয় শাহের পাশাপাশি ‘প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর-ঘনিষ্ঠ’ ব্যবসায়ী নিখিল মার্চেন্টের কারবার এবং ব্যবসায়ী অজয় পিরামলের সঙ্গে মোদী-মন্ত্রিসভার গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রী পীযূষ গয়ালের লেনদেন নিয়েও তদন্ত চালিয়ে রিপোর্ট প্রকাশ করেছিলেন রোহিনী। দ্য ওয়্যারের প্রতিবেদন বলছে, ২০১৮ সালে ঠিক যে সময়ে রাফাল যুদ্ধবিমান নিয়ে দেশ জুড়ে বিতর্ক তৈরি হয়েছিল, ঠিক সেই সময়েই ফাঁস হওয়া তালিকায় নাম উঠেছিল ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের সুশান্তের। গত বছরই ফরেন্সিক পরীক্ষায় তাঁর ফোনে পেগাসাসের অস্তিত্ব খুঁজে পাওয়া গিয়েছে। ঘটনাচক্রে, সুশান্তও রাফাল নিয়েই তদন্ত করছিলেন।