টুইটার থেকে নেওয়া।
ভেবেছিলেন, খাবার কিনে বাড়িতে গিয়ে মেয়ের সঙ্গে বসে খাবেন। বাড়ি ফিরে খাবারের সেই প্যাকেট খুলতেই দেখা গেল পরোটার গায়ে লেপটে রয়েছে সাপের খোলস! ঘটনাটি ঘটেছে কেরলের তিরঅনন্তপুরমের চন্দামুক্কুতে। অভিযোগের ভিত্তিতে রেস্তরাঁটি বন্ধ করে দিয়েছে প্রশাসন।
গত বৃহস্পতিবার দুপুরে মেয়ে আর নিজের জন্য পরোটা কিনতে চন্দামুক্কুর একটি রেস্তরাঁয় গিয়েছিলেন প্রিয়া নামে এক মহিলা। দু’টি পরোটা কিনে তিনি বাড়ি ফেরেন। মেয়ের সঙ্গে খেতে বসেন। মেয়েকে একটি পরোটা দিয়ে, অন্যটি নিজে নেন। তাঁর মেয়ে তখন খেতেও শুরু করে দিয়েছে। পরোটায় কামড় বসাতে গিয়ে সন্দেহ হয় প্রিয়ার। ভাল করে দেখে বুঝতে পারেন, পরোটার গায়ে লেগে আছে সাপের খোলস! তত ক্ষণে খাওয়া মাথায় মা-মেয়ের। ছুটে যান পুলিশের কাছে।
থানা থেকে বিষয়টি জানানো হয় খাদ্য নিরাপত্তা দফতরে। রেস্তরাঁয় অভিযান চলে। দেখা যায়, অত্যন্ত নোংরা পরিবেশে খাবার তৈরি হয়। এখানে ওখানে পড়ে ময়লা, আবর্জনা। তৎক্ষণাৎ বন্ধ করে দেওয়া হয় রেস্তরাঁটি। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক খাদ্য নিরাপত্তা দফতরের এক আধিকারিক জানিয়েছেন, যে কাগজ দিয়ে পরোটা মোড়া হয়েছিল, তাতেই ছিল সাপের খোলস। অসাবধানতায় তা খেয়াল করেননি রেস্তরাঁকর্মীরা।
সম্প্রতি কাসারগোদ জেলায় একটি রেস্তরাঁর খাবার খেয়ে মৃত্যু হয় ১৬ বছরের এক কিশোরীর। একই খাবার খেয়ে গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েন অন্তত ৪০ জন। রেস্তরাঁটি বন্ধ করে দেওয়ার পাশাপাশি তার কর্ণধার ও কর্মীদের বিরুদ্ধে কড়া ধারায় মামলা দায়ের হয়েছে। জানা গিয়েছে, ওই রেস্তরাঁর খাবারে ছিল বিষাক্ত ব্যাকটেরিয়া। যা খেলে মৃত্যু হওয়াও অস্বাভাবিক নয়। এ বার সেই কেরলেই পরোটায় মিলল সাপের খোলস।