পিটিআইয়ের তোলা ফাইল চিত্র।
রাজনৈতিক মতাদর্শ যা-ই হোক না কেন, মহিলাদের সম্মানরক্ষায় সকলেরই এককাট্টা হওয়া উচিত। এমনটাই মত কেন্দ্রীয় মন্ত্রী স্মৃতি ইরানির। তিনি বলেন, “যে রাজনৈতিক ভাবধারাতেই বিশ্বাস থাকুক না কেন, তাকে অজুহাত বানিয়ে মহিলাদের সম্মানহানি করতে কুৎসা করা উচিত নয়।”
সমাজবাদী পার্টি (সপা) ছেড়ে বিজেপি-তে যোগদানের পরই অভিনেত্রী তথা দলীয় সাংসদ জয়া বচ্চনের বিরুদ্ধে কুরুচিকর মন্তব্য করে বসেন নরেশ অগ্রবাল। সোমবার তিনি বলেছিলেন, “ফিল্মে যাঁরা কাজ করেন আমার সঙ্গে তাঁদের তুলনা করা হয়েছে।” সপা থেকে রাজ্যসভার টিকিট না পেয়ে তাঁর ক্ষোভ, “...ফিল্মে কাজ করেন, নাচ করেন, এমন সকলের জন্য আমাকে অগ্রাহ্য করা হয়েছে। এটা ঠিক নয়।”
ওই মন্তব্যের পরই তীব্র সমালোচনার মুখে পড়েন নরেশ। পুরনো দল সপা থেকে তো বটেই, তাঁর নতুন দল, বিজেপি-র অন্দর থেকেও নরেশকে বিদ্ধ করা হয়। বিদেশমন্ত্রী সুষমা স্বরাজ টুইট করে বলেন, “নরেশ অগ্রবাল ভারতীয় জনতা পার্টিতে যোগ দিয়েছেন। তাঁকে স্বাগত। তবে, জয়া বচ্চনজির বিরুদ্ধে করা তাঁর মন্তব্য অনুপযুক্ত এবং একেবারেই গ্রহণীয় নয়।”
সুষমার মতোই ক্ষোভে ফেটে পড়ে সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহারকারীদের একাংশ। এক টুইটার ব্যবহারকারী প্রস্তাব দেন, ২০১২-তে স্মৃতি ইরানির বিরুদ্ধে করা অশালীন মন্তব্যের জন্য কংগ্রেসের সঞ্জয় নিরুপমকেও একই ভাবে আক্রমণ করা উচিত বিজেপি-র। স্মৃতির সম্পর্কে সে সময় নিরুপম বলেছিলেন, “আপনি নিজেকে রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞ বলে মনে করেন? এই সে দিন পর্যন্তও টেলিভিশনে নাচতেন আপনি, আর আজ আপনি রাজনীতিক হয়ে গিয়েছেন!” এর পরই নিরুপমের বিরুদ্ধে মানহানির মামলা করেন স্মৃতি।
আরও পড়ুন: জয়াকে ‘নাচনেওয়ালি’ বলে সপা ছেড়ে বিজেপি-তে নরেশ
আরও পড়ুন: সেভিংস অ্যাকাউন্টে ন্যূনতম ব্যালান্সে জরিমানা কমাল এসবিআই
এ বার সেই কথা উস্কে দিলেও সাবধানী স্মৃতি। বরং নরেশের মন্তব্যের তীব্র বিরোধিতা করে স্মৃতি বলেন, “গত পাঁচ বছর ধরে সেই মামলা আদালতে ঝুলছে। তবে আমার লড়াইকে অজুহাত বানিয়ে অন্য মহিলাদের অপমান করা ঠিক নয়। আসলে এটাই মনে রাখা উচিত যে যখন মহিলাদের সম্মানের প্রশ্ন ওঠে তখন রাজনীতির ঊর্ধ্বে উঠে এককাট্টা হয়ে তার নিন্দা করা উচিত।”