তল্লাশি: বিমানের ধ্বংসাবশেষ সরিয়ে উদ্ধার কাজের চেষ্টা। বৃহস্পতিবার মুম্বইয়ে। ছবি: পিটিআই।
মাত্র ৩ কিলোমিটার দূরেই ছিল মুম্বই বিমানবন্দর। ছোট চার্টার্ড বিমানটি নিয়ে সেখানে আর নামা হল না ক্যাপ্টেন প্রদীপ রাজপুত এবং ফার্স্ট অফিসার মারিয়া জুবেরির। আজ সকাল ১১টা নাগাদ ঘাটকোপার এলাকার সর্বোদয় নগরে নির্মীয়মাণ একটি আবাসনের উপরে ভেঙে পড়ল বিমানটি।
বৃহস্পতিবার সকালে জুহু থেকে পরীক্ষামূলক উড়ানে মাটি ছেড়েছিল ১২ আসনের কিং এয়ার সি-৯০ বিমানটি। দুই পাইলট ছাড়াও বিমানে ছিলেন অ্যাসিস্ট্যান্ট মেনটেন্যান্স ইঞ্জিনিয়ার সুরভি এবং এয়ার টেকনিশিয়ান মণীশ পাণ্ডে। সকলেই মারা গিয়েছেন। জ্বলন্ত বিমানের ধ্বংসস্তূপে চাপা পড়ে মৃত্যু হয়েছে এক মোটরবাইক আরোহীরও। দেহটি শনাক্ত করা যায়নি। জখম দু’জন।
দুর্ঘটনাস্থল লাগোয়া এলাকার এক বাসিন্দা বলেন, ‘‘হঠাৎ বিস্ফোরণের আওয়াজ। প্রথমে ভেবেছিলাম, নির্মীয়মাণ আবাসনটিতে বৈদ্যুতিক গোলযোগ থেকে আগুন লেগেছে। পরে দেখি এই কাণ্ড। বিমানের আগুন ছড়িয়ে পড়েছে আশপাশের গাছেও।’’ ঘটনাস্থলের অদূরেই রয়েছে বেশ কয়েকটি বহুতল। প্রাক্তন বিমানমন্ত্রী প্রফুল্ল পটেলের মতে, পাইলটের তৎপরতায় বহুতলগুলির উপরে ভেঙে পড়েনি বিমানটি। তা না-হলে আরও বেশি প্রাণহানি হতে পারত। টুইটারে তিনি লেখেন, ‘নিজেদের জীবনের বিনিময়ে বহু মানুষের প্রাণ রক্ষা করেছেন যে চালক, তাঁকে স্যালুট। গভীর সমবেদনা জানাই।’ খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় দমকলের চারটি ইঞ্জিন। ঘণ্টা দুয়েকের চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে।
আরও পড়ুন: দালাল-রাজ জারি, সন্দেহ অর্থ মন্ত্রকে
দুর্ঘটনাগ্রস্ত বিমানটির ব্ল্যাক বক্স উদ্ধার হয়েছে। ২০১৪ সালে ইউ ওয়াই অ্যাভিয়েশন প্রাইভেট লিমিটেড নামে মুম্বইয়ের একটি সংস্থার কাছে ওই বিমানটি বিক্রি করেছিল উত্তরপ্রদেশ সরকার। রাজ্য সরকারের এক আধিকারিক জানিয়েছেন, এর আগেও ইলাহাবাদে এক বার দুর্ঘটনার মুখে পড়েছিল বিমানটি। গুটখা ব্যবসায়ী দীপক কোঠারি সেটির বর্তমান মালিক। আজ দুর্ঘটনাস্থল পরিদর্শনে যান মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফডণবীস। দুর্ঘটনার কারণ জানতে দ্রুত তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন বিমানমন্ত্রী সুরেশ প্রভু।
’