অনগ্রসর শ্রেণির সভায় লালু-নীতীশ। পটনায়। ছবি: পিটিআই।
আসন বন্টনের ক্ষেত্রে উপেক্ষিত হওয়ায় ক্ষুব্ধ এনসিপি মহাজোট ছেড়ে বেরিয়ে যাওয়ার হুমকি দিল। ছোট দলের জোট গঠনের হুমকি বিহার সমাজবাদীরও। গত কাল বিহারের বিজেপি-বিরোধী মহাজোটের মসৃণ আসন ভাগাভাগি এর ফলে ঘা খেল বলে বিজেপি নেতাদের কেউ কেউ মনে করলেও আরজেডি বা জেডিইউয়ের তরফে তা উড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। জেডিইউয়ের এক নেতার কথায়, ওঁরা কিছু আসন পাওয়ার জন্য চাপ তৈরি করছেন। আসন ওঁরা পাবেন। বিজেপি-বিরোধী ভোট যাতে ভাগ না হয় তার সব চেষ্টাই লালু-নীতীশ করবেন।
এনসিপি নেতা তথা সাংসদ তারিক আনোয়ার আজ বলেন, ‘‘আসন বন্টন দেখার পরে মনে হচ্ছে মহাজোটে আমাদের আর দরকার নেই। মহাজোটের নেতারা মনে করছেন বিহারের মুসলমানরা তাঁদের বাধ্য হয়েই ভোট দেবেন। কিন্তু তা হবে না।’’ পাশাপাশি, মুলায়ম সিংহ যাদবের সমাজবাদী পার্টির বিহার রাজ্য সভাপতি রামশরণ যাদব জানিয়েছেন, মহাজোটের আসন বন্টনে তাঁদের জন্য কিছুই রাখা হয়নি। তিনি বলেন, ‘‘সমস্ত ছোট দল মিলেমিশে জোট তৈরির পরিকল্পনা চলছে।’’ এ ছাড়াও, হায়দরাবাদের আসাদউদ্দিন ওয়াসির দল এমকিউএম বিহারে প্রার্থী দেওয়ার পরিকল্পনা করছে বলেও সূত্রের খবর।
এ দিকে, গত কাল যৌথ সাংবাদিক সম্মেলন করার পরে আজ ফের শ্রীকৃষ্ণ মেমোরিয়াল হলে এক সভায় ফের পাশাপাশি লালু-নীতীশ। ‘অতি পিছড়া সম্মেলন’-এ বিজেপির বিরুদ্ধে দুই নেতাই বিষোদগার করেন। গত দশ বছরের নিজের কাজের খতিয়ান তুলে ধরেন নীতীশ। তাঁর কথায়, সাইকেল বিতরণ কর্মসূচির জেরে বিহারে বিপ্লব হয়েছে। এর ফলে সমাজের পিছনের সারিতে থাকা মেয়েদের সবচেয়ে বেশি লাভ হয়েছে। পোশাক যোজনার জেরেও সবচেয়ে বেশি লাভবান সমাজের পিছনের সারিতে থাকা ছাত্রছাত্রীরাই। এর ফলে বিহারে স্কুলছুটের সংখ্যাও অনেক কমে এসেছে। নীতীশ বলেন, ‘‘বিজেপির লোকেরা আজ সমাজকে ভাগ করার কাজ করছে। জাতি-ধর্মের নামে বিহারের সমাজকে ভাগ করতে চাইছে।’’ নাম না করে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে ‘বাইরের লোক’ বলে উল্লেখ করেন তিনি। তাঁর কথায়, ‘‘বাইরের লোক বিহারে এসে অন্যায় ভাষা প্রয়োগ করছে। বিহারের মানুষকে ভুল বোঝানো, সন্দেহ করা এটা বিজেপির আদত হয়ে গিয়েছে।’’ নীতীশ কুমারের পরে লালুপ্রসাদও বিজেপির বিরুদ্ধে আক্রমণ শানান। তাঁর কথায় ‘‘এই নির্বাচন শুধু বিহারের নয়, সারা দেশের নির্বাচন।’’