লোকসভা ভোটে বিজেপি ও তৃণমূলের মোকাবিলায় কংগ্রেসের সঙ্গে সমঝোতার পথেই থাকছে সিপিএম। সেই সঙ্গে সংগঠনকে চাঙ্গা রাখার লক্ষ্যে পথে থাকছে তারা। পুজোর মুখে দলের রাজ্য কমিটির দু’দিনের বৈঠকে এই রণনীতিই ঠিক হয়েছে।
কেন্দ্র ও রাজ্যের শাসক দলের বিরুদ্ধে সব ভোটকে একত্রিত করার লক্ষ্যে বাংলায় দলকে এগোনোর জন্য শুক্রবারই রাজ্য কমিটিতে বার্তা দেন সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক সূর্যকান্ত মিশ্র। বৈঠকের শেষ দিনে দলের সাধারণ সম্পাদক সীতারাম ইয়েচুরি সেই রাস্তাই স্পষ্ট করে দিয়েছেন। পরে ইয়েচুরি বলেন, ‘‘বিজেপির জোটকে হারানো ও ধর্মনিরপেক্ষ সরকার গড়ার লক্ষ্যে লোকসভা ভোটে লড়াই হবে। এই লক্ষ্যে বিভিন্ন রাজ্যে বিভিন্ন নির্বাচনী কৌশল গ্রহণ করা হবে। যেমন, তামিলনাড়ুতে আমাদের লক্ষ্য বিজেপি ও রাজ্যের শাসক এডিএমকে-কে পরাস্ত করা। বাংলায় বিজেপি ও তৃণমূলের বিরুদ্ধে সর্বোচ্চ ভোট একত্রিত করার চেষ্টা আমরা করব।’’ তবে নির্বাচনী সমঝোতা চূ়ড়ান্ত হওয়ার আগে বামেদের বিভিন্ন গণসংগঠন যে আন্দোলন-সংগ্রামের পথে থাকবে, তা-ও স্পষ্ট করে দেন ইয়েচুরি। যেমন, কৃষক সভা-সহ একাধিক সংগঠনকে নিয়ে এখন মোদী সরকারের রাফাল-দুর্নীতির বিরুদ্ধে প্রতিবাদে নামছে সিপিএম। এর পরে প্রচার চলবে জানুয়ারিতে কেন্দ্রীয় ট্রেড ইউনিয়নের ডাকা দু’দিনের সাধারণ ধর্মঘট সফল করার লক্ষ্যে।
রাজ্য কমিটির জবাবি ভাষণে শনিবার সূর্যবাবু দল ও গণসংগঠনের ফের পদযাত্রার সূচি বাতলে দিয়েছেন। ঠিক হয়েছে, নভেম্বর মাসে তিনটে কেন্দ্রীয় পদযাত্রা হবে। উত্তরবঙ্গে কোচবিহার থেকে একটি পদযাত্রা বেরোবে তিস্তাকে কেন্দ্র করে কিছু দাবি নিয়ে। মধ্যবঙ্গে পলাশি থেকে হবে দ্বিতীয় পদযাত্রা। আর সিঙ্গুর থেকে তৃতীয় পদযাত্রাটি আসবে কলকাতায়। দলের কৃষক ও খেতমজুর ফ্রন্ট ওই পদযাত্রার উদ্যোক্তা। তবে অন্যান্য গণসংগঠনও তাতে সামিল হতে পারে। সূর্যবাবু বুঝিয়ে দিয়েছেন, পেট্রল, রান্নার গ্যাস, সারের দামের প্রতিবাদ-সহ নানা কর্মসূচি নিয়েই পুজোর পর থেকে সংগঠনকে সক্রিয় থাকতে হবে। নজর দিতে হবে বুথ কমিটি গড়ার দিকেও।