পুজো আসতে আর বেশি দেরি নেই। শহরের বাইরে ছুটি কাটানোর প্ল্যান রেডি? সিকিম যাওয়ার ইচ্ছে রয়েছে নাকি? উত্তরগুলো ‘হ্যাঁ’ হলে, এ বার থেকে কিন্তু আপনার যাতায়াতের কষ্ট অনেকটা কম হতে পারে, যদি বিমানপথ বেছে নেন। বেঁচে যাবে অনেকটা সময়ও।
এত দিন বেশ দীর্ঘ পথে সিকিম যেতে হত। বিমানে গেলেও, বাগডোগরায় নেমে কম পক্ষে সাড়ে চার ঘণ্টার সফর সেরে তবে পা রাখতে হত সেখানে। তবে এ বার থেকে অত ঝামেলা পোহাতে হবে না। কারণ, সিকিমে বিমানবন্দরের দরজা খুলে যাবে চলতি মাস থেকেই। পাকিয়ংয়ের মাটিতে চালু হল সে রাজ্যের প্রথম বিমানবন্দর।
হিমালয়ের কোলে সিকিমের পাহাড়ি জমিতে গড়ে উঠেছে এই বিমানবন্দরটি। গ্যাংটক থেকে মাত্র ৩০ কিলোমিটার দূরেই। সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে সাড়ে চার হাজার ফুট উঁচুতে রয়েছে ১.৭৫ কিলোমিটার দীর্ঘ রানওয়ে, চওড়ায় ৩০ মিটার।
সোমবার পাকিয়ং বিমানবন্দরের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। বাণিজ্যিক উড়ান চালু হবে আগামী ৪ অক্টোবর থেকে। পুজোর আগেই পর্যটকদের জন্য সুখবর।
উদ্বোধনের আগেই প্রতিযোগিতা শুরু হয়েছিল। এবার স্পাইসজেট জানিয়ে দিল ৪ অক্টোবর থেকে কলকাতা-পাকিয়ং সরাসরি বিমান চালু করে দিচ্ছে তারা। একইসঙ্গে গুয়াহাটি এবং দিল্লির মধ্যেও সরাসরি চালু হচ্ছে উড়ান।
আপাতত কলকাতা-পাকিয়ং বিমান ভাড়া পড়বে ২৬০০ টাকার মতো। কলকাতা থেকে সকাল সাড়ে ৯টায় ছাড়বে বিমান। পাকিয়ং পৌঁছবে বেলা ১০টা ৫৫-তে। আগামী ১৫ অক্টোবর পর্যন্ত ফিরতি বিমান পাকিয়ং ছাড়বে বেলা ১১টা ১৫ মিনিটে। কলকাতা পৌঁছবে ১২টা ৪৫-এ।
১৬ অক্টোবর থেকে কলকাতা থেকে সকালের বিমান পাকিয়ং হয়ে তার পর চলে যাবে গুয়াহাটি। ফলে ফিরতি বিমানের সময় পিছবে। ওই দিন থেকে দুপুর ২টো ৫০-এ পাকিয়ং ছেড়ে, বিকেল সাড়ে ৪টেয় কলকাতা পৌঁছবে স্পাইসের বিমান।
৯ বছর ধরে প্রায় ৬০০ কোটি টাকা খরচ করে পাকিয়ং বিমানবন্দরটি তৈরি করা হয়েছে।
পাহাড়ি প্রকৃতির কোলে এই বিমানবন্দর নিঃসন্দেহেই তার রূপের ছটায় মুগ্ধ করবে যাত্রীদের। তবে একই সঙ্গে এতে ওঠানামা করতে দরকার পড়বে অভিজ্ঞ পাইলটও।