কলকাতা থেকে মুম্বই পৌঁছে ম্যারাথন জেরার সামনে পড়লেন সিদ্ধার্থ দাস। বৃহস্পতিবার রাত সওয়া আটটা নাগাদ খার থানায় পৌঁছন তিনি। এর পর প্রায় সাত ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদের পর রাত তিনটে নাগাদ ছাড়া হয় তাঁকে। শিনার ডিএনএ-এর সঙ্গে মিলিয়ে দেখার জন্য তাঁর রক্তের নমুনাও সংগ্রহ করা হয়েছে বলে জানিয়েছে মুম্বই পুলিশ।
বেশ কয়েক দিন ধরেই অবশ্য সিদ্ধার্থ দাবি করছিলেন, শিনার সঙ্গে তাঁর শেষ কথা হয় বছর পনেরো আগে। গত কাল শিনার একটি ডায়েরি সামনে আসায় সিদ্ধার্থের সেই দাবি নিয়ে প্রশ্ন ওঠে। এর পরেই সিদ্ধার্থ মেনে নেন, মেয়ের সঙ্গে যোগাযোগ ছিল তাঁর। তাঁকে জেরা করার জন্য বুধবারই মুম্বই পুলিশের একটি দল কলকাতায় পৌঁছয়। সূত্রের খবর, ডিএনএ পরীক্ষার জন্য তাঁর রক্তের নমুনা নেওয়ার পাশাপাশি তাঁর বয়ান রেকর্ডও করা হয়েছে।
মুম্বই পুলিশ অবশ্য দাবি করেছে, রহস্য সমাধান প্রায় করেই ফেলেছে তারা। দু’একদিনের মধ্যে মুম্বই পুলিশ কমিশনার রাকেশ মারিয়া তদন্তের অগ্রগতি নিয়ে সাংবাদিক সম্মেলন করতে পারেন। শনিবার শেষ হচ্ছে ধৃত তিন অভিযুক্ত ইন্দ্রাণী মুখোপাধ্যায়, সঞ্জীব খন্না এবং শ্যাম রাইয়ের পুলিশি হেফাজতের মেয়াদ। তার আগেই মারিয়া সাংবাদিকদের সামনে আসেন কি না সেটাই দেখার।