মঙ্গলবার চণ্ডীগড়ে সিধুর এই সাংবাদিক সম্মেলন নিঃসন্দেহে চাপ বাড়িয়েছে দিল্লির আপ সদর দফতরের। ছবি: পিটিআই।
পঞ্জাব বিধানসভা নির্বাচনের মাস পাঁচেক আগে নিজের রাজনৈতিক দল গঠন করলেন নভজ্যোত সিংহ সিধু। বৃহস্পতিবার আনুষ্ঠানিক ভাবে যাত্রা শুরু করল তাঁর দল ‘আওয়াজ-এ-পঞ্জাব’। বিজেপি-ত্যাগী সিধু যাঁর দলে যোগ দেবেন বলে জল্পনা ছিল, সেই অরবিন্দ কেজরীবালকেই সবচেয়ে তীব্র আক্রমণে এ দিন বিঁধেছেন সিধু। ‘ইয়েসম্যান’ ছাড়া কাউকে পছন্দ করেন না কেজরীবাল, তোপ সিধুর।
বিজেপির টিকিটে রাজ্যসভার সদস্য হওয়া সিধু সাংসদ পদে ইস্তফা দেওয়ার পর দেশের রাজনৈতিক মহল মোটামুটি ধরেই নিয়েছিল। সিধু আম আদমি পার্টিতে (আপ) যোগ দিচ্ছেন। পঞ্জাবে সিধুর ভূমিকা কী হবে, তা নিয়ে আপ নেতৃত্বের সঙ্গে সিধুর যে আলোচনা শুরু হয়ে গিয়েছিল, তা কারও অজানা ছিল না। কিন্তু আলোচনা ঠিক পথে এগোয়নি এবং সিধু নতুন রাজনৈতিক দল গঠনের প্রস্তুতি শুরু করেন। বৃহস্পতিবার সাংবাদিক সম্মেলন করে আনুষ্ঠানিক ভাবে নিজের দল ‘আওয়াজ-এ-পঞ্জাব’-এর সূচনার কথা ঘোষণা করলেন সিধু। তার পর কেজরীবালের সঙ্গে তাঁর কথোপকথনের প্রসঙ্গ টেনে জানালেন, আগামী বছরের গোড়ায় পঞ্জাবে যে বিধানসভা নির্বাচন হতে চলেছে, সে নির্বাচনে তাঁকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে বারণ করেছিলেন কেজরীবাল। আপ জয়ী হলে সিধুর স্ত্রী নভজ্যোত কউর সিধুকে মন্ত্রী করা হবে বলে কেজরীবাল প্রস্তাব দিয়েছিলেন, দাবি সিধুর। এর পর সিধু বলেন, ‘‘সে কথা শুনে আমি কেজরীবালকে বলি, সৎ শ্রী অকাল (ব্যঙ্গার্থে অনেক ধন্যবাদ, চলি)।’’ দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী সম্পর্কে সিধু আরও বলেন, ‘‘কেজরীবাল শুধু তাঁদেরই চান, যাঁরা তাঁর সব কথায় হ্যাঁ বলবে।’’
আওয়াজ-এ-পঞ্জাবের পক্ষ থেকে মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থী হচ্ছেন সিধু নিজেই। তাঁর দলের স্লোগান, ‘পঞ্জাবের জয়, পঞ্জাবিয়তের জয়, পঞ্জাবিদের জয়।’ আওয়াজ-এ-পঞ্জাবের নীতি এবং আদর্শকে ‘সিধুইজম’ বা ‘সিধুবাদ’ নামে ডাকা শুরু করেছেন সিধুর অনুগামীরা। আপ-এর ভোটে বড়সড় ভাগ বসাতে পারে সিধুর দল, বলছেন রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা। তবে মাত্র মাস পাঁচেকের মধ্যে নতুন দলকে নির্বাচনের জন্য প্রস্তুত করা বড় চ্যালেঞ্জ নভজ্যোত সিংহ সিধুর সামনে।
আরও পড়ুন: ফের আক্রমণাত্মক মোদী, সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে যৌথ লড়াইয়ের ডাক আসিয়ানে