২০১৪ সালে ভাসুরের বিরুদ্ধে যৌন হেনস্থার অভিযোগ দায়ের করেন এক মহিলা।
মহিলাকে মধ্যমা দেখানো তাঁর যৌন হেনস্থা করার সমান অপরাধ। সে জন্য অপরাধীর জেলও হতে পারে। এমনটাই রায় দিল দিল্লির এক আদালত।
শনিবার যৌন হেনস্থার একটি পুরনো মামলার শুনানির পর রায়দানের সময় এ কথা বলেন দিল্লির মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট বসুন্ধরা আজাদ। ২০১৪ সালে রুজু করা ওই মামলায় অভিযুক্তকে ইতিমধ্যেই জেলে পাঠিয়েছে আদালত। তবে তার কী সাজা হবে, তা ঘোষণা হবে আগামী মঙ্গলবার।
দিল্লি পুলিশ সূত্রে খবর, ২০১৪ সালের মে মাসে তাঁর ভাসুরের বিরুদ্ধে যৌন হেনস্থার অভিযোগ দায়ের করেন এক মহিলা। ওই মহিলার অভিযোগ, যৌন হেনস্থার পাশাপাশি তাঁকে চড়ও মারেন অভিযুক্ত। এমনকি, মধ্যমা দেখিয়ে অভব্য মুখভঙ্গিও করেন।
আরও পড়ুন: ‘আপনার ছেলের কোনও ক্ষতি করব না’, মায়ের আর্তিতে আশ্বাস বাবুলের
যদিও মহিলার অভিযোগ বরাবরই অস্বীকার করে এসেছেন ওই ব্যক্তি। তাঁর দাবি, পারিবারিক সম্পত্তি নিয়ে বিবাদের জেরেই তাঁর বিরুদ্ধে এ ধরনের অভিযোগ করেছেন ওই মহিলা।
আরও পড়ুন: প্রাক্তন বিচারপতির বাড়িতে গৃহবধুর উপর অত্যাচারের অভিযোগ, ভাইরাল সিসিটিভি ফুটেজ
গোটা ঘটনার তদন্তের পর অভিযুক্তের বিরুদ্ধে মামলা রুজু করে দিল্লি পুলিশ। ২০১৫-র ৮ অক্টোবর ওই ব্যক্তির বিরুদ্ধে চার্জ গঠন করা হয়।
দীর্ঘ শুনানির পর এ দিন দিল্লির মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট জানিয়েছেন, অভিযুক্তের দাবি মতো পারিবারিক বিবাদের কোনও প্রমাণ মেলেনি। এ ছাড়া, ওই মহিলার যৌন হেনস্থার করার উদ্দেশ্যেই তাঁর সঙ্গে এ ধরনের আচরণ করেছেন অভিযুক্ত। এবং কোনও মহিলাকে মধ্যমা দেখানোও তাঁর যৌন হেনস্থার করারই সামিল।